চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) বার্ষিক সাধারণ সভা ও নতুন কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চবিসাস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান এবং প্রবীণদের বিদায় ও নবীনদের বরণ করে নেওয়া হয়।
রবিবার (১ জুন) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তন কক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
দুই ক্যাটাগরিতে চবিসাসের চারজন সদস্য সিইউজেএ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দুইজন। তারা হলেন- চবিসাসের ২৫তম কমিটির সদ্য বিদায়ী সহ-সভাপতি এবং দৈনিক পূর্বকোণের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আহমেদ জুনায়েদ এবং ঢাকা পোস্ট ও দৈনিক আমার দেশের প্রতিনিধি আতিকুর রহমান।
আরো পড়ুন:
ছাত্রদলের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের প্রতিবাদ ডুজার
শেরপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অন্যদিকে, বর্ষসেরা ফিচার সাংবাদিকতার ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন চবিসাসের ২৫ তম কমিটির সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রোকনুজ্জান রোকন এবং প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাসুদ রানা।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “সাংবাদিক, শিক্ষকদের দলীয় ব্যানারে ভয়েস করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা অনেক অ্যাক্টিভ। আমি এমন কোনোদিন নেই যে, সাংবাদিক ফেইস করি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধরতে সাংবাদিকরা বরাবরের মত ভূমিকা রাখবে সেই প্রত্যাশা করি।”
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) শামীম উদ্দিন খান বলেন, “সাংবাদিকতা হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। দেশের বিগত দুর্দিন হওয়ার পেছনে ৫০ শতাংশ দায়ী হচ্ছে অসৎ সাংবাদিকরা। তারা চাইলে একটি রাষ্ট্রের জন্য অনেককিছু করতে পারেন। এমন কোন নিউজ আমরা আশা করি না, যেটাতে মিথ্যা তথ্যে ভরা। সঠিক তথ্যের যে কোন নিউজের ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাব। শুধু নেতিবাচক নিউজই নয়, ইতিবাচক বিভিন্ন বিষয়গুলোও তুলে ধরতে হবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা আমাদের ছাত্র। তারা সর্বদা সঠিক নিউজ করার চেষ্টা করেন। কিছুকিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা নিউজ পাঠালে অফিস থেকে এদিক-সেদিক করা হয়।”
তিনি বলেন, “নেতিবাচক বিষয়ের পাশাপাশি ইতিবাচক নিউজগুলোও বেশি বেশি প্রচার করতে হবে। সাংবাদিকরা আমাদের শিক্ষার্থী। তাই তাদের উচিত, শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করা।” ক্যাম্পাসের অনেক ইতিবাচক বিষয় আছে, কিন্তু সাংবাদিকরা এগুলো নিয়ে কয়টা নিউজ করেছেন- প্রশ্ন রাখেন উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্ল্যা পাটোয়ারী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আল-আমিন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ প্রমুখ।
চবিসাসের নবীন সদস্য হয়েছেন, সময় টিভির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি উবায়দুর রমান তারিফ, সুপ্রভাত বাংলাদেশের প্রতিনিধি ফুয়াদ মন্ডল, রাইজিংবিডি ডটকমের সংবাদদাতা এম. মিজানুর রহমান, সারাবাংলার প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান রাফি, জনবাণীর প্রতিনিধি নাজমুল হাসান রাবি।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য ব দ কর অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক