ঈদুল আজহা সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে মির্জাপুরের কামারপল্লি। কোরবানির কাজে ব্যবহারের জন্য দা, চাকু, চাপাতি, ছুরি বানানো ও শান দেওয়ার কাজ করছেন তারা।
মির্জাপুর উপজেলা সদরে, পাকুল্যা, গুণটিয়া, মাঝালিয়া, ভাতগ্রাম, ফতেপুর, আজগানা, বাঁশতৈল, উয়ার্শী, ভাওড়াসহ বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে কামারশালায় ব্যস্ততা দেখা গেছে। চলছে কোরবানির পশু জবাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরির কাজ। এ ছাড়া চলছে বিভিন্ন সরঞ্জামে শান দেওয়ার কাজ।
কামাররা জানান, বছরের ১১ মাস কোনোরকম টিকে থাকলেও কোরবানির সময় ব্যস্ত হয়ে পড়েন কামারপল্লির কারিগররা। বিক্রি ও শান দিয়ে প্রতিদিন তারা তিন থেকে চার হাজার টাকার মতো আয় করছেন। 
উপজেলা সদরের কামারপল্লির কারিগর বিপ্লব সরকার জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসছে বলে তাদের কাজের চাপ আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। নতুন বানানোর চাইতে পুরোনো সরঞ্জামে শান দেওয়ার কাজই বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন, কাস্তে শান দিতে ৪০ টাকা, দা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, চাপাতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং বড় ছুরি ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এ ছাড়া এসব সরঞ্জাম নতুন করে বানাতে ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।
মির্জাপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকীর ভাষ্য, আগে কামারপল্লির কারিগরদের অবস্থা অনেক ভালো ছিল। সারাবছর তাদের কাজ থাকত। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিকায়নে তাদের এখন টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে তারা যে পরিমাণ উপার্জন করেন তাই দিয়েই বছরের অন্য সময়টা কোনোরকম পার করে পেশা টিকিয়ে রাখছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ম রখন দ ঈদ উৎসব ক রব ন র সরঞ জ ম

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় দম্পতির মরদেহ উদ্ধার 

গাইবান্ধায় একটি বাড়ি থেকে দম্পতির ঝলুন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ঢাকেরপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার হয়।

মারা যাওয়ারা হলেন- রাসেল মিয়া (১৮) ও তার স্ত্রী জুঁই খাতুন (১৫)। রাসেল ঢাকেরপাড়া গ্রামের জাকিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির সহকারী ছিলেন।

বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা বলেন, “তাদের (রাসেল ও জুঁই) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারের সম্মতিতে কিছুদিন আগে তাদের বিয়ে হয়। গতকাল সোমবার তারা একসঙ্গে নদীতে গোসল করে। রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় রাসেলের মা ঘরের দরজার কড়া ধরে ডাকতে থাকেন। কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেন রাসেলের মা। তিনি দেখতে পান, রাসেল ও তার স্ত্রী ঘরের ভেতর বাঁশের ধরনার সঙ্গে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন।”

আরো পড়ুন:

বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মেজো ভাই খুন

ধামরাইয়ে মা ও ২ ছেলের লাশ উদ্ধার 

পলাশবাড়ী থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল  হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে জেনেছি, তারা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ