ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়ার দাবি শিক্ষকদের
Published: 2nd, June 2025 GMT
শিক্ষার পাশাপাশি রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক, অর্থনৈতিকসহ দেশের বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষক। এ দাবি জানিয়ে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
৮৩টি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশেষ মর্যাদা প্রদান করে শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দ দান, স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোসহ শিক্ষকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম এ কাউসার, স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবা সুলতানা, শামসুন্নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রাচীন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শতবর্ষী এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার পাশাপাশি এই জনপদের রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক অগ্রগতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বুদ্ধিভিত্তিক দিকনির্দেশনা, রাজপথের নেতৃত্ব এবং সম্মুখসমরে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনন্যসাধারণ ভূমিকা সুবিদিত।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘নব্বইয়ের সফল স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানসহ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন–সংগ্রামে চালকের আসনে ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদী সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সূচনা এবং স্বৈরাচারী সরকার উৎখাত করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নবযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাই নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছেন। ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশের সরকার পরিচালনায়ও নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাক্তনীরা।’
স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, ‘জ্ঞানের বিকাশ, নতুন জ্ঞান সৃজন ও মুক্তবুদ্ধিচর্চার মাধ্যমে আলোকিত মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি জাতি বিনির্মাণে সব ক্ষেত্রে অবদান রাখার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা ক্ষেত্রে উপেক্ষার শিকার হয়ে চলেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের পদচারণ থাকলেও মেধার লালন ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে পর্যাপ্ত সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বরাবরই অনীহা পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাঙ্ক্ষিত মানের শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ ও অবকাঠামো তৈরি করা কখনোই সম্ভব হয়নি।’
এ জন্য ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর ইতিহাসে এক ব্যতিক্রমী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কারণ, জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার মধ্যেই এ বিশ্ববিদ্যালয় তার ভূমিকা সীমাবদ্ধ রাখেনি। বাংলাদেশ নামক একটি জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়, এর রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় এ বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিক অবদান রেখে চলছে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অধিকতর বিকাশ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য একে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করে শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দ দান, স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোসহ শিক্ষকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি।’
এ বিষয়ে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যত গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হয়েছে, সব আন্দোলনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ছিল অগ্রগামী। শুধু তাই নয়, শিক্ষা ও গবেষণায়ও এই বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিশেষ মর্যাদা নেই। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার নজির রয়েছে। আমরা চাই, সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম রকল প ত শ ক ষকদ র অবদ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূসের মুখ থেকেই জনগণ জানতে চায়
একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন। চিন্তা করুন, দেশে সংসদ থাকলে কী যে তুলকালাম কাণ্ড হতো? সরকারের প্রধান নির্বাহী বা প্রধানমন্ত্রীকে দাঁড়িয়ে সংসদে জবাবদিহি করতে হতো। বিরোধী দল টেবিল চাপড়ে হইচই করত।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফর সম্পন্ন করেছেন। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাপান সরকার আমাদের বাজেটঘাটতি মিটাতে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ধার দিবে। বেশ কয়েকটি আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতার চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বলা হয়েছে, জাপান আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখের বেশি লোক নিয়োগ করবে। এই সফরের ফলাফল এই পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে, তাতে বলা যায় এটা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবে। এতে জাপান সরকারের সহৃদয়তা যেমন রয়েছে, তেমনি আছে অধ্যাপক ইউনূসের ব্যক্তিগত প্রভাবের প্রতিচ্ছবি। এই সফরের বিস্তারিত সফলতাগুলো কি দেশের জনগণ অধ্যাপক ইউনূসের মুখে সরাসরি শুনতে পারে না?
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অভিমত জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার একটি নির্বাচিত সরকারেরই রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস ও সেনাপ্রধান দুজনই সরকারের লোক। তারা কি এসব বিষয় আলাপ করে সুরাহা করতে পারেন না?
মব কিছুটা থেমেছে। এখন রাজনীতিবিদেরাই দল বেঁধে সরকারি ভবনে ঢুকে যাচ্ছেন, রাস্তায় রাস্তায় ধরনা দিচ্ছেন এবং সরকারি ভবনে তালা দিচ্ছেন। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে। তাঁরাই কয়েক দিন আগে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে ফ্যাসিবাদ আর থাকবে না। এখন তাঁরা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করছেন, শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ করছেন। অধ্যাপক ইউনূসের কাছের লোকেরা বলেছেন তিনি এসব নিয়ে বিরক্ত। কেউ কেউ বলেছেন তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কেউ বলছেন তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আমরা কি তাঁর ভাবনাগুলো তাঁর মুখ থেকে শুনতে পারব?
এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুব সহজ নয়। কারণ, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিজে নীরবে কাজ করতে পছন্দ করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপদেষ্টারা যা বলেন, তার থেকেই দেশের জনগণ উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন। উপদেষ্টারা যা বলেছেন তাতেও অনেক বিষয়ে পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন। আপনি কী ভাবছেন, জনগণ নিশ্চয়ই আপনার মুখ থেকেই জানতে চায় অধ্যাপক ইউনূস।
এমন কিছু সময় আছে দেশের সমস্যা ও সমাধানের পথগুলো দেশের প্রধান নির্বাহীর মুখে না শুনলেই নয়। সেই ক্রান্তিকালটাতে আমরা পৌঁছে গেছি। আর একটা বিষয় অবশ্যই জরুরি, অধ্যাপক ইউনূস যদি সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটা রোড ম্যাপ বা নীলনকশা তৈরি করে স্পষ্ট কণ্ঠে জানিয়ে দেন, এটাও হবে তার ‘বুলি পলপ্রিট’ বা হাঁকডাকের অংশ বিশেষ ।অধ্যাপক ইউনূসের জাপান সফরকালে কথিত পদত্যাগের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া। জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, যেহেতু তিনি এই বিষয়ে বাংলাদেশে কোনো কথা বলেননি, তাই বিদেশে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তা ‘বড় সমস্যা’ হতে পারে। অধ্যাপক ইউনূস এখন দেশে ফিরে এসেছেন, এখন কি তিনি কিছু বলবেন?
আমাদের দেশে এখন যা চলছে, নির্বাচন দিলেই কি সব মিটে যাবে? বিচারপতি শাহাবুদ্দিনও একটা ভালো নির্বাচন দিয়ে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিলেন। তারপর কী হলো?
আবার সরকারের বয়স প্রায় ১০ মাসে হয়ে গেল। কিন্তু সংস্কারের তেমন কিছুই হয়নি। এ নিয়েও প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। জরুরি বিবেচনায় আমরা পুলিশি কাজে সেনাবাহিনীর সাহায্য নিচ্ছি। বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন ও রাজনীতিতেও তাদের পরামর্শ ও সাহায্য নেওয়া দোষের কিছু নয়। অধ্যাপক ইউনূসই একমাত্র পরিষ্কারভাবে জানাতে পারেন সরকার কী সংস্কার করতে চায় এবং কীভাবে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারে।
দেশের একটা বিরাট জনগোষ্ঠী অধ্যাপক ইউনূসের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করেন। কিন্তু তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও কথাবার্তায় সৃষ্ট ধোঁয়াশা নিয়ে দারুণভাবে উদ্বিগ্ন। অধ্যাপক ইউনূসই স্পষ্টভাবে একাত্তরের স্বাধীনতার সপক্ষে কথা বলেন, এই বিষয় পরিষ্কার করতে পারেন।
আমাদের দেশে এখন সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। জনগণকে আশ্বস্ত করা এবং শিক্ষাদানের একটা ব্যাপার আছে। দেশের প্রধান নির্বাহী কর্তার এই চুপচাপ থাকার খারাপ দিকও আছে। তিনি কি কিছু বিষয়ে সোচ্চার হতে পারেন না?
আমেরিকার রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট একটা কথার প্রচলন করেছিলেন—‘বুলি পলপ্রিট’। এর অর্থ হলো শাসক বা উচ্চ পদের ব্যক্তির বিশেষ অবস্থান, যেখান থেকে তিনি জনগণকে শিক্ষিত করতে পারেন, নৈতিক অনুপ্রেরণা দিতে পারেন। আজকালকার দিনে এই ‘বুলি পলপ্রিটের’ প্রয়োজন আরও বেড়েছে।
এখন ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্যুৎ গতিতে প্রচার ও অপপ্রচার গড়াতে থাকে। সরকারের প্রধানকে জনগণের কাছে নিজের কাজ ও উদ্দেশ্যগুলো সার্বক্ষণিকভাবে প্রচার করতে হবে। নতুবা অন্যরা আপনার উদ্দেশ্য ও কাজকর্মকে তাদের মতো সংজ্ঞায়িত করবে। উপদেষ্টারা সরকারের ভাষ্য যেভাবে প্রকাশ করছেন, তাতে রয়েছে যথেষ্ট অস্পষ্টতা ও পরস্পর বিরোধিতা।
আমাদের সংবাদমাধ্যম ও টেলিভিশনে অধ্যাপক ইউনূসকে নিজ মুখে খুব বেশি কথা বলতে শোনা যায়নি। দেশি সংবাদমাধ্যমে হাতে গোনা কয়েকটি তিন–চারটা ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তবে অধ্যাপক ইউনূস যে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে পছন্দ করেন না, তা–ও ঠিক নয়। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর বিশ্বের গণমাধ্যমে তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে তাঁর সাক্ষাৎকার ফলাও করে প্রচার করা হতো।
এর মধ্যেই দেশে অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদেরা দল বেঁধে সরকারকে চাপ দিচ্ছেন। অধ্যাপক ইউনূস আপনি কি তা নিয়ে কিছু বলবেন? দেশের জনগণ গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টার মুখেই শুনতে চান। সরকারপ্রধানের চুপচাপ থাকার একটা খারাপ দিক হলো, এতে সরকারকে দুর্বল দেখায়। প্রধান উপদেষ্টা কি কিছু বিষয়ে সোচ্চার হতে পারেন না?
এমন কিছু সময় আছে দেশের সমস্যা ও সমাধানের পথগুলো দেশের প্রধান নির্বাহীর মুখে না শুনলেই নয়। সেই ক্রান্তিকালটাতে আমরা পৌঁছে গেছি। আর একটা বিষয় অবশ্যই জরুরি, অধ্যাপক ইউনূস যদি সংস্কার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটা রোড ম্যাপ বা নীলনকশা তৈরি করে স্পষ্ট কণ্ঠে জানিয়ে দেন, এটাও হবে তার ‘বুলি পলপ্রিট’ বা হাঁকডাকের অংশ বিশেষ ।
সালেহ উদ্দিন আহমদ সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ই-মেইল: [email protected]
(মতামত লেখকের নিজস্ব)