ঈদের বাকি আর মাত্র ৪ দিন৷ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই গ্রামে যাচ্ছেন। গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে। তবে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বৃষ্টি বেশি হলে ও শিল্পকারখানা একসঙ্গে ছুটি হলে ঈদে তীব্র যানজটের শঙ্কা করছেন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। 

সোমবার (২ জুন) সকাল থেকেই গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় এবং ঈদে দীর্ঘ যানজট এড়াতে অনেকেই পরিবারের অন্য সদস্যদের আগে থেকে গ্রামে পাঠাচ্ছেন। আবার ঢাকায় ঢুকছে কোরবানির পশুবাহী গাড়ি। ফলে বৃষ্টির কারণে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।  

গত ৪ দিনের বৃষ্টির কারণে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তাসহ আশপাশের সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচল ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এজন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বৃষ্টি না কমলে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হবে ঘরমুখো মানুষদের। 

এদিকে, শিল্পঅধ্যুষিত গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করছেন লাখ লাখ কর্মী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ কারখানা ছুটি হবে আগামী ৪ ও ৬ জুন৷ একসঙ্গে ছুটি হওয়ায় সড়কে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে এবং যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। 

উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ খ্যাত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগরা, চান্দনা চৌরাস্তা ধরেই মূলত ঢাকা ও গাজীপুরের লোকজন বাড়ি 

সাত্তার নামে এক বাসচালক বলেন, “ এমন বৃষ্টি থাকলে এবারের ঈদে যানজট সৃষ্টি হবে৷ বৃষ্টি থাকলে খানাখন্দ হয় এবং গাড়িও ধীরে চালাতে হয়৷ আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে আসবে৷ না হলে সবারই সমস্যা হবে।” 

ডেনিম এশিয়ার শ্রমিক আলাউদ্দিন বলেন, “আমাদের কারখানা আগামী ৫ তারিখ ডিউটি করে ছুটি৷ ওই দিন আশপাশের সব কারখানা একসঙ্গে ছুটি দেবে৷ এজন্য পরিবারের সদস্যদের আজ গ্রামের বাড়ি নওগাঁ পাঠিয়ে দিলাম।” 

সালনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে আমাদের সব সময় বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। এবারও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করবে।” 

ঢাকা/রেজাউল/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাগদানের গুঞ্জনের মাঝে হুমার রহস্যময় পোস্ট
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল