গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ, বৃষ্টিতে ভোগান্তি
Published: 2nd, June 2025 GMT
ঈদের বাকি আর মাত্র ৪ দিন৷ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই গ্রামে যাচ্ছেন। গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে। তবে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বৃষ্টি বেশি হলে ও শিল্পকারখানা একসঙ্গে ছুটি হলে ঈদে তীব্র যানজটের শঙ্কা করছেন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২ জুন) সকাল থেকেই গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় এবং ঈদে দীর্ঘ যানজট এড়াতে অনেকেই পরিবারের অন্য সদস্যদের আগে থেকে গ্রামে পাঠাচ্ছেন। আবার ঢাকায় ঢুকছে কোরবানির পশুবাহী গাড়ি। ফলে বৃষ্টির কারণে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
গত ৪ দিনের বৃষ্টির কারণে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তাসহ আশপাশের সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচল ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এজন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বৃষ্টি না কমলে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হবে ঘরমুখো মানুষদের।
এদিকে, শিল্পঅধ্যুষিত গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করছেন লাখ লাখ কর্মী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ কারখানা ছুটি হবে আগামী ৪ ও ৬ জুন৷ একসঙ্গে ছুটি হওয়ায় সড়কে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে এবং যানজটের সৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ খ্যাত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগরা, চান্দনা চৌরাস্তা ধরেই মূলত ঢাকা ও গাজীপুরের লোকজন বাড়ি
সাত্তার নামে এক বাসচালক বলেন, “ এমন বৃষ্টি থাকলে এবারের ঈদে যানজট সৃষ্টি হবে৷ বৃষ্টি থাকলে খানাখন্দ হয় এবং গাড়িও ধীরে চালাতে হয়৷ আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে আসবে৷ না হলে সবারই সমস্যা হবে।”
ডেনিম এশিয়ার শ্রমিক আলাউদ্দিন বলেন, “আমাদের কারখানা আগামী ৫ তারিখ ডিউটি করে ছুটি৷ ওই দিন আশপাশের সব কারখানা একসঙ্গে ছুটি দেবে৷ এজন্য পরিবারের সদস্যদের আজ গ্রামের বাড়ি নওগাঁ পাঠিয়ে দিলাম।”
সালনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে আমাদের সব সময় বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। এবারও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করবে।”
ঢাকা/রেজাউল/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কিরণ-রীনা এখনও আমার জীবনের বড় অংশ: আমির খান
নতুন প্রেম নিয়ে কয়েক মাসে বলিউড অভিনেতা আমির খান ও গৌরীকে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। অবশ্য প্রেমের আভাস দিয়ে গৌরীকে সবার সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছেন আমির নিজেই। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গেছে দুজনকে। নতুন প্রেম নিয়ে আলোচনার মধ্যেই অতীতের বিবাহ সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন আমির।
আমির খান জানান, তিনি একসময় ভেবেছিলেন নতুন সঙ্গী খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন হবে। তাই গৌরী সঙ্গে দেখা করার আগে তিনি থেরাপির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন এবং নিজেকে সুস্থ করার জন্য কাজ করেন।
গৌরীর সাথে তার দেখা সম্পর্কে বলতে গিয়ে, আমির রাজ শামানির পডকাস্টে বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি এবং ভাবছিলাম জীবনের এই পর্যায়ে আমি কার সাথে দেখা করব। থেরাপির সময়, আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার প্রথমে নিজেকে ভালোবাসা এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
গৌরীর সঙ্গে কীভাবে তার পরিচয় হয়েছিল, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আমির বলেন, ‘গৌরীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল একদম ভুলবশত, কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা সংযোগ তৈরি হয় এবং আমরা বন্ধুত্ব গড়ে তুলি, এরপর ভালোবাসা আসে।’
অতীতে রীনা দত্ত এবং কিরণ রাওয়ের সঙ্গে তার গভীর এবং অর্থপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এখনও তিনি উভয়ের সাথেই ঘনিষ্ঠ বন্ধন ভাগ করে নেন।
আমির খানের কথায়, ‘বিচ্ছেদ মানেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়া নয়। রীনা দত্ত ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে এখন সম্পর্ক আছে। আমরা একে অপরকে সম্মান করি এবং একে অপরের জীবনের অংশ।’
আমিরের ভাষ্য, ‘কিরণ, রীনা এবং আমি এখনও পানি ফাউন্ডেশনের কাজ একসঙ্গে করি, আমরা প্রতিদিনই বসে কথা বলি। আমাদের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসা ও আন্তরিকতা রয়েছে। আমরা একটি পরিবারের মতো এবং সবসময় তাইই থাকব। আমরা হয়তো স্বামী-স্ত্রী নই, কিন্তু আমরা সবসময়ই একটি পরিবার। ওরা সবসময়ই আমার জীবনের অবিচল অংশ হয়ে থাকবে।”