পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামে স্বস্তি, তবে ক্রেতা কম
Published: 2nd, June 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর কয়েক দিন। এর মধ্যেই মসলা ও মসলাজাতীয় পণ্যের কেনাকাটা শুরু করেছেন ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো বাজার জমে ওঠেনি। চাহিদার চেয়ে বেশি মালামাল আছে বাজারে। যার কারণে দাম তুলনামূলক কম।
দেশে কোরবানির সময় মসলাজাতীয় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, তার মধ্যে অন্যতম পেঁয়াজ, রসুন ও আদা। মূলত মাংস রান্নায় মসলাজাতীয় এসব পণ্য ব্যবহার করা হয় বেশি। প্রতিবছর কোরবানির এক মাস আগে থেকে দেশে ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তর বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এসব পণ্যের বেচাবিক্রি বেড়ে যায়। তবে এবার মসলাজাতীয় এসব পণ্যের দোকানে ক্রেতা কম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় গত বছরের তুলনায় এ তিন পণ্যের দাম তুলনামূলক কম আছে।
চট্টগ্রামের চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ বলেন, দাম নির্ভর করে বাজারের ওপর। এ বছর সরবরাহ বেশি, আবার বেচাকেনা নেই। তাই দামও কমেছে। কোরবানি ঘিরে ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি আছে। তবে আশা অনুযায়ী এখনো কেউ ব্যবসা করতে পারেননি এ বছর।
পেঁয়াজের বাজারে দেশি আধিপত্য
দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ হয় সাধারণত মেহেরপুর, তাহেরপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে। মৌসুমের শুরুতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ থাকে বেশি। বাজারে চাহিদার একটি অংশ আমদানি করা পেঁয়াজ দিয়ে পূরণ করা হয়। বিশেষ করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়। এ ছাড়া চীন, পাকিস্তান, মিসর থেকেও পেঁয়াজ আসে।
চট্টগ্রামের বাজারে বেশির ভাগ সময় বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের আধিপত্য থাকে বেশি। তবে এ বছর বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ প্রায় নেই বললেই চলে। গুটিকয় দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজের দেখা পাওয়া গেছে। বাকি সব দোকানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। প্রায় এক মাস ধরে বাজারের এই চিত্র। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় আমদানি কম করেছেন ব্যবসায়ীরা।
আদা-রসুনের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও এখনো ক্রেতা কম। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের একটি আড়তে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় জ র সরবর হ মসল জ ত য় আমদ ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত//