আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জরুরি মনোযোগের দাবি রাখে: কীভাবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো যায় এবং কোভিড-পরবর্তী দারিদ্র্য ও আয়ের ক্ষতি মোকাবিলায় কীভাবে অর্থায়ন নিশ্চিত করা যায়? এই প্রশ্নগুলো কেবল আর্থিক নয়, বরং ঐতিহাসিক বেদনার গল্প। এগুলো উন্নয়নের পরিক্রমাকে তাড়া করে ফিরছে। ‘বাজেটটি কি ঋণের বোঝা কমানোর কৌশল’—এই তৃতীয় উদ্বেগ নিয়ে এই কলামে গত ২৭ মে আলোচনা হয়েছে।

প্রথম বেদনা—ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক সম্পদ লুণ্ঠন। অর্থনীতিবিদ দাদাভাই নওরোজি হিসাব করেছিলেন, উনিশ শতকের শেষের দিকে ভারত থেকে বছরে ৩০ থেকে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড নিষ্কাশিত হতো। ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে বাংলায় যখন লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে, তখনো সাম্রাজ্যের জন্য বাংলা রাজস্ব উৎপাদনকারী ইঞ্জিন। বাংলা ব্রিটিশ ভারতের মোট কর রাজস্বের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জোগান দিত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, উপনিবেশ-উত্তর রাষ্ট্র হয়েও বাংলাদেশের কর-জিডিপির অনুপাত মাত্র ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার গড় ১০ থেকে ১২ শতাংশ, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে অনেক নিচে। একটি করুণ বৈপরীত্য—একসময় রাজস্বের জন্য যে অঞ্চলকে শোষণ করা হতো, এখন নিজেই অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে!

দ্বিতীয় বেদনা লর্ড বেভারিজকে ঘিরে। তিনি যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার স্থপতি। তাঁর জন্মস্থান রংপুর আজও সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলগুলোর একটি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, রংপুরে দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৮, জাতীয় গড় ১৮ দশমিক ৭ শতাংশের চেয়েও ৬ দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। 

ব্রিটিশরা জমিদারদের মতো মধ্যস্বত্বভোগীদের পরিবর্তে ব্রিটিশ-প্রশিক্ষিত বেতনভুক্ত জেলা কালেক্টর নিয়োগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় রাজস্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে। দুর্নীতি হ্রাসে ভূমি জরিপ, ক্যাডাস্ট্রাল ম্যাপিং ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কর আদায় করেছিল তারা। দ্বিতীয়ত, কৌশলগতভাবে নগদ ফসল (নীল, আফিম, পাট, চা) চাষের মাধ্যমে অর্থনীতিকে নগদীকরণ করে। আইনি কাঠামো, প্রশাসনিক কঠোরতা, শোষণ ও বলপ্রয়োগ ঔপনিবেশিক শক্তির রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করলেও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, একটি সমতাভিত্তিক ব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষাই উত্তর-ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

কেন রাজস্বব্যবস্থা কার্যকর হচ্ছে না 

পৃষ্ঠপোষকতানির্ভর অর্থনীতিতে ব্যর্থতার শিকড় প্রোথিত। সিপিডির তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কর ফাঁকি ও অবৈধ অর্থ পাচারের কারণে দেশের ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। করপোরেট কর ফাঁকিই প্রায় অর্ধেক। ‘স্টেট অব ট্যাক্স জাস্টিস ২০২৪’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে বছরে তিন থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার পাচার করে।

করব্যবস্থার প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্র বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব প্রাপ্তির ৬৬ শতাংশ পরোক্ষ কর। এর ৩৮ শতাংশ রাজস্ব আয় আসে নিরপেক্ষ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে। এটি নিম্ন আয়ের পরিবারের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোঝা। মাত্র ১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ কর রিটার্ন দাখিল করেন। ধনী–অভিজাত ব্যক্তিরা ফাঁকফোকর ব্যবহার করতে সিদ্ধহস্ত। যেমন অনাবাসী হিসেবে বা ব্যবসায়িক মুনাফাকে করমুক্ত কৃষি আয় হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করছে।

লক্ষাধিক খুচরা ব্যবসা ‘ছোট দোকানের’ আড়ালে বার্ষিক টার্নওভার কম দেখিয়ে ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে। এনবিআর জানাচ্ছে, তিন কোটির বেশি ব্যবসার মধ্যে মাত্র ৫ দশমিক ৫ লাখ (প্রায় ২ শতাংশ) ভ্যাটের জন্য নিবন্ধিত। অনানুষ্ঠানিক ই-কমার্স খাত ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই কাজ করছে। শুল্ক প্রশাসন ত্রুটিপূর্ণ। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির মতে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি পণ্যের মূল্য ভুলভাবে দেখানোর কারণে বাংলাদেশ গড়ে বছরে প্রায় ৮ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি আইনি জটিলতাও দুর্নীতিকে উসকে দেয়; জব্দকৃত পণ্য গুদামে অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে ঝুঁকি তৈরি করে।

রাজস্বব্যবস্থার যুগোপযোগীকরণ

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় আমূল মধ্যমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বাজেটে সংস্কার কৌশল ও সুচিন্তিত বাস্তবায়ন পরিকল্পনার উপস্থাপন থাকতে পারে। এখানে সংস্কার এজেন্ডার পাঁচটি স্তম্ভ উল্লেখ করা হলো:

প্রথমত, এনবিআরকে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে হবে। কর আদায়ের এই প্রতিষ্ঠানের নাম হতে পারে ‘বাংলাদেশ রাজস্ব কর্তৃপক্ষ’। পুরো ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে ঢেলে সাজাতে হবে। নীতি প্রণয়নের কাজ করতে বর্তমানের শুল্ক ও বাণিজ্য কমিশনকে আওতাভুক্ত করে ‘বাংলাদেশ কর ও শুল্ক কমিশন’ নামে একটি পৃথক প্রতিষ্ঠান গড়া যেতে পারে। এই সংস্থার প্রধান কাজ হবে পৃষ্ঠপোষকতানির্ভর অর্থনীতি থেকে মুক্তি এবং কৌশলগতভাবে অর্থনীতিকে নগদীকরণ।

দ্বিতীয়ত, প্রত্যক্ষ করকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘কর কোড’ আধুনিকায়ন দরকার। সহজীকরণ এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে অফিস স্থাপন করলে করের আওতা বাড়বে।

তৃতীয়ত, প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারির ব্যবস্থা চালু জরুরি। যেমন কর শনাক্তকরণ ড্যাশবোর্ড (বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক লেনদেন, ভূমি রেকর্ড একীভূত করে), বন্ডেড গুদামের জন্য ব্লকচেইনভিত্তিক ট্র্যাকিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত ঝুঁকি মূল্যায়ন জালিয়াতি রোধে সহায়ক হবে।

চতুর্থত, কার্যকর ট্রান্সফার প্রাইসিং আইন প্রণয়ন জরুরি। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মাস্টার ও স্থানীয় নথি জমা এবং দেশওয়ারি রিপোর্টিং বাধ্যতামূলক করতে হবে। মুনাফা স্থানান্তরের ওপর কঠোর জরিমানা আরোপ প্রয়োজনীয়।

পঞ্চমত, সবুজ করকাঠামো চালু করা যেতে পারে। উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী শিল্পের (যথা সিমেন্ট, বস্ত্র) ওপর কার্বন কর (যেমন টনপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা) আরোপ করা যেতে পারে। ওই রাজস্ব জলবায়ু অভিযোজন তহবিলে যেতে পারে। 

বহুমাত্রিক সংকট থেকে সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা

দেশ বহুমাত্রিক সংকটের মুখোমুখি। বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, দারিদ্র্যের হার ২০২৪ সালে ২০ দশমিক ৫ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ২২ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে স্বল্প ব্যয় (জিডিপির যথাক্রমে ২ শতাংশ ও ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ) এবং শিক্ষার দুর্বল ফলাফল ও তরুণদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণ না থাকার হার (জাতীয়ভাবে ৪১ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ) জনমিতিক লভ্যাংশ অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুতর চ্যালেঞ্জ। বহুমুখী চ্যালেঞ্জগুলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথেও বাধা।

দ্রুত নগরায়ণ ঘটছে, বাসযোগ্য শহর হচ্ছে না। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ঘনত্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতার সমপরিমাণ বৃদ্ধি ঘটছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জিডিপির ৫ থেকে ৭ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে।

সামাজিক সুরক্ষার জন্য সরকারি বরাদ্দ অপর্যাপ্ত, ত্রুটিপূর্ণ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও রাজনৈতিকীকরণ। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচিগুলো ত্রাণভিত্তিক। আজ পর্যন্ত সর্বজনীন, অধিকারভিত্তিক করা যায়নি। ১০০টির বেশি খণ্ডিত কর্মসূচিকে একক প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অধীন আনা প্রয়োজন।

অনেকেই আশা করছেন, বাজেটে ‘সর্বজনীন জীবনচক্রভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা’র প্রস্তাব থাকবে। এই রূপান্তরকারী উদ্যোগ জীবন-জীবিকার সংকট থেকে সৃষ্ট ‘নিম্ন সামাজিক ফাঁদ’ কাটিয়ে উঠতে ও নাগরিকদের অর্থনৈতিক ধাক্কায় পেছনে না ফেলে সহনশীলতা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে বেড়ে ওঠা জুলাই ২০২৪-এর শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে এমন একটি ব্যবস্থাই হবে যথাযথ শ্রদ্ধার্ঘ্য। রংপুরই সেই জেলা, যেখানে লর্ড বেভারিজ জন্মেছিলেন।

ড.

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

* মতামত লেখকের নিজস্ব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ র র জন য দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা