ঈদযাত্রায় চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধে ব্যবস্থা
Published: 3rd, June 2025 GMT
ঈদযাত্রায় গণপরিবহনগুলোকে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একইসঙ্গে তিনি যাত্রাপথে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেছেন, ঈদযাত্রায় চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে আছে সরকার। চাঁদাবাজি যে-ই করুক, তার দলীয় পরিচয় বিবেচনায় না নিয়েই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ঈদের যাতায়াতে বাস ডাকাতি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির পাশাপাশি বাসে যাত্রীদের ছবি তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অনেক সময় যাত্রীর ছদ্মবেশে অনেক ডাকাত বাসে ওঠে। এ সমস্যা এড়াতে দূরপাল্লার সব পরিবহনে যাত্রীদের ছবি নেওয়া হবে। বাসের প্রথম স্টপেজ থেকে শেষ স্টপেজ পর্যন্ত যারা উঠবে, সবার ছবি নিতে হবে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ধরেন, আমিনবাজারে যাত্রী ওঠানো বন্ধ হবে। সেখানেই সব যাত্রীর ছবি তুলে দরজা বন্ধ করে দিতে হবে। কিছু বাস আছে সাভারেও যাত্রী ওঠায়। তাদেরকে সাভার থেকেও ছবি তুলতে হবে। প্রতিটি বাসে তিনজন করে লোক থাকে। যদি আমার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তারা সঙ্গে সঙ্গে মালিকপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না, জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা এবং বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা বসেছিলাম। গতবার নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পেরেছি। এটা আপনারাও (সাংবাদিক) প্রচার করেছেন। আমরা আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন হবে। গতবার তারা যাওয়ার সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিয়েছিল। কিন্তু, ফেরার পথে অল্প কিছু জায়গায় নির্ধারিত ভাড়া নেয়নি। এবার যেন আসা এবং যাওয়ার পথে সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হয়, সেজন্যই আমরা বসেছিলাম। মালিকপক্ষ সম্মত হয়েছে, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেওয়া হবে না।
“আমরা অনেক সময় দেখেছি, ঈদের মৌসুমে যেসব ড্রাইভার দক্ষ না, তাদেরকেও বাস চালাতে দেওয়া হয়। কিন্তু, আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, অদক্ষ ড্রাইভাররা কোনোভাবেই যেন বাস চালাতে না পারেন। তাদেরকে বাস চালাতে দিলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে,” যোগ করেন উপদেষ্টা।
দেশের কোনো জায়গায় যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখছে, জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আশা করছি, কোনো সমস্যা হবে না। আপনারা নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করুন।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরী, মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান খান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র ন র ধ ঈদয ত র য়
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।