Risingbd:
2025-08-01@03:17:15 GMT

চেনা যায়?

Published: 3rd, June 2025 GMT

চেনা যায়?

মাথায় বড় পাগড়ি। লাল রঙের। গায়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স জার্সি। নিচে কালো জিন্স। মুখে একটা চিরচেনা হাসি। পরের ছবিটায় দেখালেন পেছনের দিকটা। সেখানে বড়সড় করে লিখা নাম, ক্রিস গেইল! 

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দেখতে মাঠে হাজির হয়ে গেছেন ক্যারিবীয়ান তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর জার্সিতে তাকে চেনাই যাচ্ছিল না। প্রিয় দল বেঙ্গালুরু আরো একবার ফাইনালের মঞ্চে। আরো একবার দলকে উৎসাহ জুগাতে, প্রেরণা দিতে গেইলকে পাশে পেল আরসিবি। যদিও পাঞ্জাবের হয়েও গেইল খেলেছেন আইপিএলে। 

আরো পড়ুন:

গেইল-কোহলিকে পেছনে ফেলে বাবরের নতুন রেকর্ড

বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ব্যাট ভাঙলেন গেইল

৪৫ বছর বয়সী গেইল আইপিএলের তিনটি দলে খেলেছেন। সবশেষ ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত চারটি আসরে খেলেছেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে। এর আগে টানা সাত বছর তাকে দেখা গেছে বেঙ্গালুরুর জার্সিতে। শুরুর দুই আসরে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে। 

সব মিলিয়ে ১৪২ আইপিএলের ম্যাচে ৪ হাজার ৯৬৫ রান করেছেন গেইল। বেঙ্গালুরুর জার্সিতে ২০১৩ সালে খেলেছিলেন ১৭৫ রানের ইনিংস। যা এখনো আইপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। 

আইপিএলের শিরোপা অধরা থেকেছে গেইলের। আজ গেইলের সামর্থনে আরসিবি শিরোপা পায় কিনা দেখার।
 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ