Risingbd:
2025-06-05@09:01:46 GMT

চেনা যায়?

Published: 3rd, June 2025 GMT

চেনা যায়?

মাথায় বড় পাগড়ি। লাল রঙের। গায়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স জার্সি। নিচে কালো জিন্স। মুখে একটা চিরচেনা হাসি। পরের ছবিটায় দেখালেন পেছনের দিকটা। সেখানে বড়সড় করে লিখা নাম, ক্রিস গেইল! 

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দেখতে মাঠে হাজির হয়ে গেছেন ক্যারিবীয়ান তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর জার্সিতে তাকে চেনাই যাচ্ছিল না। প্রিয় দল বেঙ্গালুরু আরো একবার ফাইনালের মঞ্চে। আরো একবার দলকে উৎসাহ জুগাতে, প্রেরণা দিতে গেইলকে পাশে পেল আরসিবি। যদিও পাঞ্জাবের হয়েও গেইল খেলেছেন আইপিএলে। 

আরো পড়ুন:

গেইল-কোহলিকে পেছনে ফেলে বাবরের নতুন রেকর্ড

বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ব্যাট ভাঙলেন গেইল

৪৫ বছর বয়সী গেইল আইপিএলের তিনটি দলে খেলেছেন। সবশেষ ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত চারটি আসরে খেলেছেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে। এর আগে টানা সাত বছর তাকে দেখা গেছে বেঙ্গালুরুর জার্সিতে। শুরুর দুই আসরে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে। 

সব মিলিয়ে ১৪২ আইপিএলের ম্যাচে ৪ হাজার ৯৬৫ রান করেছেন গেইল। বেঙ্গালুরুর জার্সিতে ২০১৩ সালে খেলেছিলেন ১৭৫ রানের ইনিংস। যা এখনো আইপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। 

আইপিএলের শিরোপা অধরা থেকেছে গেইলের। আজ গেইলের সামর্থনে আরসিবি শিরোপা পায় কিনা দেখার।
 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোরবানিতে ৯০০ কোটি টাকার পশু বাণিজ্য

একদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানির পশু কেনাবেচা। এবারের হাটে ক্রেতাদের কাছে দেশি জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এসব গরুর দাম বেশি হলেও বড় আকারের গরুর দাম তুলনামূলক কম। সব মিলিয়ে এ জেলায় কোরবানিতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার পশু বাণিজ্যের আশা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে খামারগুলোতে পশু পালন করা হয়েছে ২ লাখ ৬৯১টি। জেলাজুড়ে মোট চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬৬ হাজার পশু বেশি রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, “এ বছর চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানি পশু রয়েছে। উদ্বৃত্ত পশু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। সবমিলিয়ে এবার কোরবানি ঈদের জন্য পশু বিক্রি করে ৯০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের সম্ভবানা রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

সরবরাহ বেড়েছে, তাই গরুর দাম কম: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঈদযাত্রা: কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ঢল

গোখাদ্যের প্রভাব পশুর হাটে: 
গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সীমান্তবর্তী এ জেলার পশুর হাটগুলোয়। গরুর দাম বেশি হওয়ায় হাটগুলোতে দামাদামি করে বিক্রেতাদের সঙ্গে পেরে উঠছেন না ক্রেতারা। অন্য বছরের তুলনায় এবার গরু বেচাকেনা কম বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বটতলা, শিবগঞ্জের তর্তিপুর, মনাকষাসহ সোনাইচণ্ডি ছোটবড় সব মিলিয়ে ১৯টি হাটে গরু বেচাকেনা চলছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুগুলো ৩১-৩৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারে বড় এমন গরু মিলছে দেশি-বিদেশি জাত বিভাজন করে ২৬-২৮ হাজার টাকা মণ দরে। 

জেলার রামচন্দ্রপুর হাট থেকে বটতলা হাটে ১০টি মাঝারি ও বড় আকারের গরু নিয়ে এসেছেন আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত মাত্র একটা গরু বিক্রি করতে পেরেছি। বাজারে গরু সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। দর্শনার্থী বেশি।”

গরু খামারি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “গত কয়েক বছরের ব্যবধানে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে আড়াই থেকে তিন গুণ। যার কারণে গত বারের তুলনায় গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় দামাদামি করেও মনমত গরু কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। যারা ভাগে কোরবানি দেবেন তারাই বেশি দাম দিয়ে হলেও গরু কিনছেন।”

পশুর হাটে এখন গরু বিক্রি না হলে বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন খামারিরা। আব্দুর রহমান ও রহমত আলীর ভাষ্য- কাঙ্খিত দামে গরু বিক্রি করতে না পারলে বড় ক্ষতি মুখে পড়বেন তারা। কোরবানির সময় গরু বিক্রি করতে পুরো বছর ধরে টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এখন গরু বিক্রি না হলে তাদের বিপাকে পড়তে হবে।

ছাগলে দিকে ঝোঁক: 
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটগুলোয় গতবার প্রতিমণ গরু ৩০ হাজারেও কম দামে বিক্রি হয়েছিল। সেই তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য কোরবানি যোগ্যপশু দাম বাড়ার যৌক্তিক কারণও আছে। সব মিলিয়ে এবার কোরবানির জন্য ছাগলের দিকে ঝুঁঁকছেন অনেকেই। কিন্তু সেখানেও দাম বাড়তির দিকে। বিক্রেতারা বলছেন- এরইমধ্যে হাটে আসা বেশিরভাগ ছাগল বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে অবশিষ্ট ছাগলগুলোতে বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম হাঁকছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শিবতলা মহল্লার বাসিন্দা শিহাব আলী বলেন, “গরুর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ছাগলের দামও। ১৪-১৫ হাজারের নিচে ছাগলই পওয়া যাচ্ছে না। তাও যা মিলছে, আকারে অনেকটা ছোট। মানুষের আগ্রহ ১৮-২০ হাজার টাকার ছাগলে। এসব ছাগলের মোট ওজন ৩৮-৪৫ কেজি পর্যন্ত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুনজের আলম মানিক বলেন, “এ খাতকে ধরে রাখতে ভালো বাজার ব্যবস্থাপনা করতে হবে। খামার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও গো-খাদ্যের দাম কমানোসহ ভর্তুকি দিলে খামারিরা সব সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবেন।”

ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ