ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু সড়কে ডাকাতিরোধে র্যাবের টহল
Published: 3rd, June 2025 GMT
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে র্যাব-১৪। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ৯ টার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর চরপাড়া বাইপাসে র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাউসার বাঁধনের নেতৃত্ব এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি এবং লিফলেট বিতরণ করেন।
এ ব্যাপারে মেজর কাউসার বাঁধন বলেন, সম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে ডাকাতি বেড়ে গেছে। এতে করে মহাসড়কে র্যাবের পেট্রোল টিম জোরদার করা হয়েছে। এই টিম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি প্রতিরোধে কাজ করবে৷ এছাড়া পুরো ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এ কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ সময় প্রতিটি গাড়িতে র্যাব ও পুলিশের নম্বরসহ লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
কয়েক দিনে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে চারটি ডাকাতি ও ছিনতাই হয়। এর ফলে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে। বিশেষ করে যাত্রীবেশে বাসে উঠে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারসহ যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব ছিনতাই করে নিচ্ছে ডাকাতদল।
আরো পড়ুন:
আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নজরদারি করছে র্যাব
৩৪ কোটি টাকার কষ্টিপাথর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
ডাকাতির পাশাপাশি নারী যাত্রীদের ধর্ষণ ও শ্লীলনতাহানির মতো ঘটনা ঘটিয়ে সটকে পড়ছেন ডাকাতদল। এতে এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের মধ্যে এখন ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঢাকা/কাওছার/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।