গাজীপুরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় ৬৪ জনের নামে মামলা
Published: 4th, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভের সময় পুলিশের এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) গাড়ি ভাঙচুর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর শিল্প পুলিশের শ্রীপুর সাব জোনের উপপরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার রায় বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন। এর আগে গতকাল ওই হামলার সময় ২৩ শ্রমিককে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ বুধবার দুপুরে তাঁদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের শ্রীপুর সাব জোনাল ইনচার্জ আবদুল লতিফ বলেন, মামলায় কোনো নারী শ্রমিককে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাঁদেরও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
শ্রমিকদের এ বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় গত সোমবার সন্ধ্যায় এক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। কারখানা সূত্র ও স্থানীয় লোকজনের বরাতে জানা যায়, শ্রীপুরের নয়নপুর নতুন বাজার এলাকায় জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেডের আটতলা থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিক জাকির হোসেন (২৭)। পরে রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জাকির হোসেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে।
পরদিন মঙ্গলবার কারখানার অন্য শ্রমিকেরা সকালে দল বেঁধে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, কারখানায় ছুটি চেয়েছিলেন জাকির হোসেন। ছুটি না দিয়ে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে তিনি কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন।
গতকাল কারখানা ঘেরাও করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান শ্রমিকেরা। তাঁরা কারখানা ভাঙচুর করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করেন শ্রমিকেরা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সংঘর্ষে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।