শাহজালাল বিমানবন্দরে চোরাচালান রোধে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা
Published: 4th, June 2025 GMT
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও চোরাচালান রোধে আধুনিক প্রযুক্তির যুগান্তকারী সংযোজনের একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউস। সম্প্রতি একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা হলে শাহজালালে চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নামবে, পাশাপাশি বর্তমানে যে নিরাপত্তা রয়েছে তার চেয়ে অধিকতর হবে।
জানা গেছে, বিমানবন্দরে বসানো হবে এআই-চালিত হিউম্যান স্ক্যানার, অত্যাধুনিক ভেহিক্যাল, বেল্ট স্ক্যানারসহ একাধিক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে স্বর্ণ ও অন্যান্য অবৈধ পণ্যের চোরাচালান কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে গত তিন মাস ধরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার শক্তি, দুর্বলতা, সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে একটি গভীর গবেষণা চালায় কাস্টমস হাউস। গবেষণার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিস এবং দেশের বাস্তবতা মিলিয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে এনবিআরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের প্রস্তাবনাগুলো হলো
এয়ারসাইডে বেল্টের শুরুতে স্ক্যানার স্থাপন: আন্তর্জাতিক মান অনুসরণে, টার্মিনাল ১ ও ২-এ বিদ্যমান ল্যান্ডসাইড স্ক্যানারের পরিবর্তে ব্যাগেজ বেল্টের শুরুতে, অর্থাৎ এয়ারসাইডে স্ক্যানার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নকশা ও বিশ্লেষণ শেষে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের অনুমোদন/অনাপত্তিপত্র নেওয়া হয়।
ডাইভার্টিং বেল্টের পরিবর্তে আরএফআইডি সিস্টেম: আরএফআইডি সিস্টেম চালু হলে স্ক্যানিং শেষে সন্দেহজনক ব্যাগে আরএফআইডি লক লাগানো হবে এবং যাত্রীরা কাস্টমস হল অতিক্রমের সময় আরএফআইডি গেট সেই ব্যাগগুলো শনাক্ত করবে। টার্মিনাল ১, ২ ও ৩-এ এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ আরএফআইডি ব্যবস্থা ও গেট স্থাপন করতে হবে।
হিউম্যান বডি স্ক্যানার স্থাপন: স্বর্ণ ও মূল্যবান পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধে হিউম্যান বডি স্ক্যানার কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এজন্য বিদ্যমান ও নতুন টার্মিনালে ১০টি স্ক্যানার স্থাপন জরুরি। এর মধ্যে টার্মিনাল ১ ও ২-এর গ্রিন চ্যানেল ১ ও ২-তে ৪টি, ভিআইপি গেটে ১টি এবং টার্মিনাল-৩-এ সমসংখ্যক ৫টি স্ক্যানার স্থাপন প্রয়োজন।
এপিআই (অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন) সিস্টেম বাস্তবায়ন: অধিকাংশ দেশ আগাম যাত্রী তথ্য ব্যবহার করে যাত্রীঘনিষ্ঠ অপরাধ চিহ্নিত করে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এপিআই সিস্টেম চালুর লক্ষ্যে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।
এআইভিত্তিক ফেসিয়াল রিকগনিশন ক্যামেরা (এফআরসি) সংযুক্ত সিসিটিভি স্থাপন: ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় এআইচালিত ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে নিয়মিত যাত্রী ও সন্দেহভাজনদের দ্রুত শনাক্ত করে কর্মকর্তাকে সতর্ক বার্তা পাঠানো যাবে।
ক্যাটারিং গেট ও ৮নং গেটে ভেহিকল স্ক্যানার স্থাপন: বিমান ক্যাটারিং সার্ভিস এলাকায় খাবার ও উচ্ছিষ্ট বহনের গাড়ির স্ক্যানের জন্য সেখানে একটি ভেহিক্যাল স্ক্যানার স্থাপন করা হবে। একইভাবে ৮নং গেট, যা দিয়ে সব গাড়ি বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করে, সেখানেও একটি স্ক্যানার বসানো হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিমানবন্দরে চোরাচালান রোধে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও চোরাচালান রোধে আধুনিক প্রযুক্তির যুগান্তকারী সংযোজনের একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউস। সম্প্রতি একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা হলে শাহজালালে চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নামবে, পাশাপাশি বর্তমানে যে নিরাপত্তা রয়েছে তার চেয়ে অধিকতর হবে।
জানা গেছে, বিমানবন্দরে বসানো হবে এআই-চালিত হিউম্যান স্ক্যানার, অত্যাধুনিক ভেহিক্যাল, বেল্ট স্ক্যানারসহ একাধিক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে স্বর্ণ ও অন্যান্য অবৈধ পণ্যের চোরাচালান কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে গত তিন মাস ধরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার শক্তি, দুর্বলতা, সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে একটি গভীর গবেষণা চালায় কাস্টমস হাউস। গবেষণার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিস এবং দেশের বাস্তবতা মিলিয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে এনবিআরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের প্রস্তাবনাগুলো হলো
এয়ারসাইডে বেল্টের শুরুতে স্ক্যানার স্থাপন: আন্তর্জাতিক মান অনুসরণে, টার্মিনাল ১ ও ২-এ বিদ্যমান ল্যান্ডসাইড স্ক্যানারের পরিবর্তে ব্যাগেজ বেল্টের শুরুতে, অর্থাৎ এয়ারসাইডে স্ক্যানার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নকশা ও বিশ্লেষণ শেষে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের অনুমোদন/অনাপত্তিপত্র নেওয়া হয়।
ডাইভার্টিং বেল্টের পরিবর্তে আরএফআইডি সিস্টেম: আরএফআইডি সিস্টেম চালু হলে স্ক্যানিং শেষে সন্দেহজনক ব্যাগে আরএফআইডি লক লাগানো হবে এবং যাত্রীরা কাস্টমস হল অতিক্রমের সময় আরএফআইডি গেট সেই ব্যাগগুলো শনাক্ত করবে। টার্মিনাল ১, ২ ও ৩-এ এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ আরএফআইডি ব্যবস্থা ও গেট স্থাপন করতে হবে।
হিউম্যান বডি স্ক্যানার স্থাপন: স্বর্ণ ও মূল্যবান পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধে হিউম্যান বডি স্ক্যানার কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এজন্য বিদ্যমান ও নতুন টার্মিনালে ১০টি স্ক্যানার স্থাপন জরুরি। এর মধ্যে টার্মিনাল ১ ও ২-এর গ্রিন চ্যানেল ১ ও ২-তে ৪টি, ভিআইপি গেটে ১টি এবং টার্মিনাল-৩-এ সমসংখ্যক ৫টি স্ক্যানার স্থাপন প্রয়োজন।
এপিআই (অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন) সিস্টেম বাস্তবায়ন: অধিকাংশ দেশ আগাম যাত্রী তথ্য ব্যবহার করে যাত্রীঘনিষ্ঠ অপরাধ চিহ্নিত করে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এপিআই সিস্টেম চালুর লক্ষ্যে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।
এআইভিত্তিক ফেসিয়াল রিকগনিশন ক্যামেরা (এফআরসি) সংযুক্ত সিসিটিভি স্থাপন: ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় এআইচালিত ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে নিয়মিত যাত্রী ও সন্দেহভাজনদের দ্রুত শনাক্ত করে কর্মকর্তাকে সতর্ক বার্তা পাঠানো যাবে।
ক্যাটারিং গেট ও ৮নং গেটে ভেহিকল স্ক্যানার স্থাপন: বিমান ক্যাটারিং সার্ভিস এলাকায় খাবার ও উচ্ছিষ্ট বহনের গাড়ির স্ক্যানের জন্য সেখানে একটি ভেহিক্যাল স্ক্যানার স্থাপন করা হবে। একইভাবে ৮নং গেট, যা দিয়ে সব গাড়ি বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করে, সেখানেও একটি স্ক্যানার বসানো হবে।