তিন যুবকের একজন ৪০, আরেকজন ১৬ ও অপর জন ১৪ মামলার আসামি। এর মধ্যে ১৬ ও ১৪ মামলার দুই আসামি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে। জামিনে মুক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁরা বের হন ডাকাতি করতে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন মাসখানেক আগে জামিনে বের হওয়া ৪০ মামলার আসামি।

তবে ওই তিনজনের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে ধরা পড়েন তাঁরা। আজ বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো.

নাজির আহমেদ খাঁন।

পুলিশ জানায়, কোরবানির পশুর হাটে ডাকাতি-ছিনতাই করতে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় পুলিশের একটি তল্লাশিচৌকিতে ওই তিন ব্যক্তিকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। এ সময় ৪০ মামলার আসামি ওই যুবক পুলিশের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা অটোরিকশাটিকে ঘেরাও করে তিনজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি রিভলবার ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পালিয়ে যান অটোরিকশার চালকসহ দুজন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শ্রীবল্লবপুর গ্রামের খায়রুল হাসান (৩০), কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বাহুরূপা গ্রামের মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ওরফে রিয়াদ (২৮) ও চাঁদপুরের মতলব উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের মো. সোহাগ মোল্লা (৩৫)। পুলিশ জানায়, খাইরুলের বিরুদ্ধে ৪০টি, রাকিবুলের বিরুদ্ধে ১৬টি ও সোহাগ মোল্লার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে। আজ বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় হওয়া অস্ত্র ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খাজু মিয়া মঙ্গলবার রাতে কান্দিরপাড় থেকে পদুয়ার বাজারমুখী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় থামতে সংকেত দেন। এ সময় অটোরিকশাতে যাত্রীবেশে থাকা খাইরুল পুলিশের উদ্দেশে অস্ত্র তাক করে। পরে পুলিশ সদস্যরা অটোরিকশাটিতে ঘেরাও করলে উপপরিদর্শক খাজু মিয়া আসামি খায়রুল হাসানকে জাপটে ধরেন। এ সময় উপস্থিত অন্যদের সহযোগিতায় রাকিবুল ও সোহাগকেও আটক করা হয়। এ সময় চালকসহ দুই যুবক পালিয়ে যান। তিনি জানান, রিয়াদ ও সোহাগ গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। আর খাইরুল এক মাস আগে জামিনে বের হন।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন পশুর হাটে গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ ছিনিয়ে নিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ