অবশেষে সোয়া ২ একর সরকারি জমি উদ্ধার প্রশাসনের
Published: 4th, June 2025 GMT
কক্সবাজার সাগরতীরের সুগন্ধা পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ২ একর ৩০ শতাংশ সরকারি জমি দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন। এ সময় অবৈধভাবে নির্মিত ৬৪টি পাকা দোকান ভেঙে দেওয়া হয়।
বুধবার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। জাল খতিয়ান তৈরি করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সরকারি ওই জমি দখলে নিয়েছিল একটি চক্র।
এর আগে ৩০ এপ্রিল ‘সুগন্ধা পয়েন্টে সাগরচুরি’ শিরোনামে সমকালে এ বিষয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর দুদকের পক্ষ থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে খতিয়ান জালিয়াতি করে সরকারি জমি দখলের প্রমাণ পান দুদক কর্মকর্তারা।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা সুলতানা। তদারকির দায়িত্বে ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী।
এ সময় সানজিদা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি জমি দখল করে একটি চক্র এখানে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিল। অভিযানে অর্ধশতাধিক পাকা দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা বলেন, সাগরতীরে ২ একর ৩০ শতাংশ এই জমির দাম প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এই জমি দখলে নিয়ে টিনের ঘেরা দিয়ে প্রায় ১০০ দোকান নির্মাণ করা হচ্ছিল। একটি চক্র এই জমি দখলে নিয়ে ভুয়া খতিয়ানও তৈরি করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কক্সবাজার জেলা শাখার সহসভাপতি ওবায়দুল হোসাইন এই দখলে জড়িত। আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে আগেও তিনি সাগরপারের জমি দখল নিয়েছেন। এ নিয়ে দলটির দু’পক্ষে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিএনপির একটি অংশ। এরপর ফের দখলে নেমেছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার খ্যাত পদ্মা সেতুতে এবারের ঈদযাত্রায় সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সেতু পারাপার করেছে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
গত বছর ঈদুল ফিতরে আগে এক দিনে এই সেতু পারাপার হওয়া যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। যা ছিল পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সর্বচ্চো টোল।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদ।
আরো পড়ুন:
গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট, ঘরমুখো মানুষের ভিড়
টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ১২টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পদ্মা সেতু পারাপার করেছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৩৫ হাজার ৯৮৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছে ১৬ হাজার ৫০২টি গাড়ি। এসময় এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১৪ জুন পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা। যা এ যাবৎকালের তৃতীয় সর্বচ্চাে। চতুর্থ সর্বচ্চো টোল আদায় করা হয় ২০২৩ সালের ২৭ জুন ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। ২০২৪ সালের ১৫ জুন আদার করা ৪ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার ৩০০ টাকা। যা টোল আদায়ের রেকর্ডে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। সবকটি সর্বচ্চো টোলের রেকর্ড হয় ঈদকে কেন্দ্র করে।
ঢাকা/রতন/মাসুদ