মহাসড়কে গাড়ির চাপ, যমুনা সেতু এলাকায় ২৫ কিলোমিটার যানজট
Published: 5th, June 2025 GMT
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে অন্তত ২৫ কিলোমিটারে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে আশেরপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত এই যানজট হয়। এতে থেমে থেমে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটি কাটাতে লোকজন কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরছেন। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন চলাচল করছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। রাতে মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে যানবাহন বিকল হয়ে যায়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আজ সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। যানবাহনকে একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ।
দিনাজপুরগামী মাইক্রোবাসের যাত্রী মোস্তাক হোসেন বলেন, তাঁরা সকাল ৭টায় টাঙ্গাইল শহর বাইপাস এলাকায় প্রবেশ করেন। সামান্য এগিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ। দুই ঘণ্টায় মাত্র ছয় থেকে সাত কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পেরেছেন।
যমুনা সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, যানজট নিরসনে আজ সকালে প্রায় এক ঘণ্টা সেতুর উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু পার হয়েছে ৫২ হাজার যানবাহন
গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। আজ সকালে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যমুনা সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের দিকে ৩০ হাজার ৮৪৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকা। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে ২১ হাজার ৪টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫০ টাকা। স্বাভাবিক সময়ে ১৬ থেকে ১৮ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এ হিসাবে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় তিন গুণ যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র প র হয় প র হয় ছ র ত ১২ট য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অবরোধে ট্রেন চলাচল বন্ধ
উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ নিয়ে ষড়যন্ত্র ও বিএসসি প্রকৌশলীদের তিন দফার প্রতিবাদে গাজীপুরে রেল ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।
বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় মাঝিরখোলা রেল ক্রসিং অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শিক্ষার্থী ও রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা জয়দেবপুর শিমুলতলী সড়কের পশ্চিম বুরুলিয়া এলাকায় বিক্ষোভ করছেন। এর পাশেই ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রুটের রেললাইনে অবস্থান নিয়েছেন৷ এতে ওই রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে৷
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশের ৪০ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও প্রায় ৪ লাখ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এই দাবি জাতীয় কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এবং শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়াবে।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এর পাশাপাশি বুধবার সকাল ১০টা থেকে গাজীপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মাহমুদুল হাসান বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা রেললাইন ব্লক করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক