প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ। দুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে আজ থেকে শুরু হয়েছে দশ দিনের ছুটি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢল নেমেছে ঘরমুখী মানুষের।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য যাত্রীদের তিন ধাপে টিকিট যাচাই করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে প্রবেশমুখে, দ্বিতীয় ধাপে ভেতরে এবং প্ল্যাটফর্মে ওঠার আগেও চূড়ান্তভাবে টিকিট পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত ভিড় থাকলেও যাত্রীরা এবার নির্বিঘ্নে ট্রেনে উঠতে পারছেন, যা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা। 

এবার ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় না হওয়ায় যাত্রা ভালো হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন যাত্রীরা।

আরো পড়ুন:

অলিগলিতে উঠেছে কোরবানির পশু, খামারে বিক্রি কেজি দরে

জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট: ছোট ও মাঝারি গরুর বিক্রি বেশি

ভোর থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২২টি ট্রেন নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৬টি কমিউটার ট্রেন এবং বাকীগুলো আন্তঃনগর ট্রেন। সর্বশেষ পঞ্চগড়গামী ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যায়। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আজ সারা দিনে ৬৩টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যাবে এবং এখন পর্যন্ত কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে।

ঢাকা রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো.

সাজেদুল ইসলাম বলেন, নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, যাত্রীদের অনেকে অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরেছেন এবং ট্রেনের সিডিউল মেনে চলায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে লাইন তৈরি করা হয়েছে। বিনা টিকিটের যাত্রীরা টিকিট প্রদর্শন না করে প্রথম ধাপ পার হতে পারছেন না। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আবারও টিকিট যাচাই করা হচ্ছে। সবশেষ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগে পুনরায় টিকিট প্রদর্শন করে যাত্রীদের প্রবেশ করতে হচ্ছে। এছাড়া চুরি-ছিনতাইসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।

যাত্রীদের চোখে-মুখে বাড়িফেরার আনন্দ। স্টেশনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কেউ ট্রেনের অপেক্ষায়, কেউবা আগেভাগেই নির্ধারিত সিটে বসে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যাত্রীরা বলছেন, ঈদে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দই আলাদা। অনেকেই দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরছেন। বিশেষ করে এবার দশদিনের ছুটি হওয়ায় বাড়ি যাওয়া মানুষের সংখ্যাও বেশি।

ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে শান্তাহার যাচ্ছেন রুস্তম আলী। তিনি রংপুর এক্সপ্রেসে ভ্রমণ করবেন।

তিনি বলেন, “প্রতি ঈদেই বাড়ি যাই। এবার ছুটি বেশি, তাই যাওয়ার প্রস্তুতিও বেশি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারব, এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে।”

ঢাকা/হাসান/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট ঈদ উৎসব ঈদ ঈদয ত র ব যবস থ র আনন দ প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট, ঘরমুখো মানুষের ভিড়

একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে রাজধানী ছাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। ঢাকার বাইরে মহাসড়কে যানজট হওয়ায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফিরে আসা যানবাহনের সংখ্যা কম। তাই গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট দেখা গেছে।

বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অংসখ্য মানুষকে। বৈরি আবহাওয়ার কারণেও ভোগান্তি বেড়েছে।

গাবতলীতে সকাল থেকে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। শ্যামলী পরিবহন, এস আর পরিবহন, শাহ ফতেহ আলী পরিবহন, সুপার সনিসহ বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারে যাত্রীদের গাড়ির জন্য বসে থাকতে দেখা গেছে। টিকিট কেটেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দূর-দূরান্তের যাত্রীদের।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ২ ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ১০

বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঘরমুখো যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি। গত দুই দিনে বহু মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ বাড়ির উদ্দেশে গেছেন। তবে আজ শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেও যাত্রীর চাপ আছে।

শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের প্রচুর গাড়ি গেছে। আমাদের আধা ঘণ্টা, ১৫ মিনিট পরপর বাস যায়। যাত্রীর চাপ আছে কিন্তু সিডিউল রাখা যাচ্ছে, না কারণ বাস ফিরে আসছে কম।’’

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, সড়কে একাধিক দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করটিয়া থেকে সেতু পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (৬ জুন) ভোরেও মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটারে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

যানজট না থাকলেও ঢাকা-আরিচা সড়কেও গাড়ির চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা।

যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক আছে। গাবতীয় টার্মিনালের প্রবেশমুখে রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম। একইসঙ্গে গাবতলী সড়কের যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। টার্মিনালের মাইকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে অভিযোগের আহ্বান ও পরিবহন কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা ১০০ ভাগ কনফিডেন্ট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ভিড় কমলেও কমলাপুরে এখনো ঘরমুখী মানুষের চাপ
  • গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট, ঘরমুখো মানুষের ভিড়
  • যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে সারা দেশে গ্রেপ্তার ৩৮৪
  • নিয়ম মানলে আইনশৃঙ্খলা-যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • মব ভায়োলেন্সের চ্যালেঞ্জ
  • গাজীপুরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় ৬৪ জনের নামে মামলা
  • প্রস্তাবিত বাজেট নব্য ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন: জিএম কাদের
  • লক্ষ্মীপুরে কোরবানির হাট: কম দামে খুশি ক্রেতা, হতাশ বিক্রেতা