ঈদযাত্রা: কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ঢল
Published: 5th, June 2025 GMT
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ। দুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে আজ থেকে শুরু হয়েছে দশ দিনের ছুটি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢল নেমেছে ঘরমুখী মানুষের।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য যাত্রীদের তিন ধাপে টিকিট যাচাই করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে প্রবেশমুখে, দ্বিতীয় ধাপে ভেতরে এবং প্ল্যাটফর্মে ওঠার আগেও চূড়ান্তভাবে টিকিট পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত ভিড় থাকলেও যাত্রীরা এবার নির্বিঘ্নে ট্রেনে উঠতে পারছেন, যা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।
এবার ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় না হওয়ায় যাত্রা ভালো হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন যাত্রীরা।
আরো পড়ুন:
অলিগলিতে উঠেছে কোরবানির পশু, খামারে বিক্রি কেজি দরে
জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট: ছোট ও মাঝারি গরুর বিক্রি বেশি
ভোর থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২২টি ট্রেন নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৬টি কমিউটার ট্রেন এবং বাকীগুলো আন্তঃনগর ট্রেন। সর্বশেষ পঞ্চগড়গামী ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যায়। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আজ সারা দিনে ৬৩টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যাবে এবং এখন পর্যন্ত কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে।
ঢাকা রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো.
এদিকে, যাত্রীদের অনেকে অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরেছেন এবং ট্রেনের সিডিউল মেনে চলায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে লাইন তৈরি করা হয়েছে। বিনা টিকিটের যাত্রীরা টিকিট প্রদর্শন না করে প্রথম ধাপ পার হতে পারছেন না। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আবারও টিকিট যাচাই করা হচ্ছে। সবশেষ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগে পুনরায় টিকিট প্রদর্শন করে যাত্রীদের প্রবেশ করতে হচ্ছে। এছাড়া চুরি-ছিনতাইসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
যাত্রীদের চোখে-মুখে বাড়িফেরার আনন্দ। স্টেশনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কেউ ট্রেনের অপেক্ষায়, কেউবা আগেভাগেই নির্ধারিত সিটে বসে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যাত্রীরা বলছেন, ঈদে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দই আলাদা। অনেকেই দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরছেন। বিশেষ করে এবার দশদিনের ছুটি হওয়ায় বাড়ি যাওয়া মানুষের সংখ্যাও বেশি।
ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে শান্তাহার যাচ্ছেন রুস্তম আলী। তিনি রংপুর এক্সপ্রেসে ভ্রমণ করবেন।
তিনি বলেন, “প্রতি ঈদেই বাড়ি যাই। এবার ছুটি বেশি, তাই যাওয়ার প্রস্তুতিও বেশি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারব, এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে।”
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট ঈদ উৎসব ঈদ ঈদয ত র ব যবস থ র আনন দ প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।