নিয়ম মানলে আইনশৃঙ্খলা-যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 5th, June 2025 GMT
সবাই নিয়ম মেনে চললে ও ধৈর্য নিয়ে কাজ করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং যানজটও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করবো- গাড়ি চালানো, কোরবানির পশুর ট্রাক আনা-নেওয়া, পথচারীদের রাস্তা পারাপার সবক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলবেন। অন্যদেরকেও নিয়ম মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করবেন।
আজ দুপুরে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার সব পরিবহন চার্ট অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত রেটে ভাড়া আদায় করছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঢাকার বাইরে থেকে অনেক গরুর গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করছে এবং বৃষ্টিও হচ্ছে। তাই ঢাকার প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টগুলোতে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে সজাগ ও সক্রিয় আছে। খুব শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
উপদেষ্টা বাস টার্মিনালে উপস্থিত যাত্রীদের সাথে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন এবং অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়েছে কিনা- তা যাচাই করেন। যাত্রীরা বিদ্যমান ভাড়ার হার ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন। এছাড়াও রাজধানীর মিরপুর ও কাফরুল থানা এবং মিরপুরে অবস্থিত পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পরিদর্শন করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথ অভিযানে ‘সীমান্তের ডন’ খ্যাত শাহীন ডাকাতসহ গ্রেপ্তার ৩
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত যৌথ অভিযানে সীমান্তের ডন খ্যাত শাহীন ডাকাতসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা থেকে শাহীন ডাকাত ও তার ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযানকালে একটি দেশীয় ২২ বোরের অস্ত্র, তিনটি একনলা বন্দুক, ১০টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২০ হাজার পিস ইয়াবা এবং একাধিক দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের নামে বিভিন্ন থানায় ২০টির অধিক হত্যা, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক মামলা রয়েছে বলে জানায় আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত শাহীন নাইক্ষ্যংছড়ি, গর্জনিয়া এবং সীমান্ত এলাকায় হত্যা, ডাকাতি, রাহাজানি, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ঈদুল আজহা উপলক্ষে শাহীন ডাকাতের নেতৃত্বে নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় ব্যাপকভাবে গরু চোরাচালান বৃদ্ধি পায়।
অভিযানকালে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে শাহিন ডাকাত ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি কয়েক রাউন্ড ফায়ার করলেও, অভিযান দলের কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের তথ্য নিকটস্থ সেনাক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।