যেখান থেকে কম দামে কেনা যাবে কোরবানির মসলা
Published: 5th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদের সময় বিভিন্ন ধরনের মসলা পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ, কোরবানির গোশত রান্নার অন্যতম অনুষঙ্গ এসব মসলা। যেহেতু এ সময় পরিমাণে বেশি লাগে, তাই অনেকেই বড় বাজার থেকে মসলা কিনতে চান। কারণ, তাতে তুলনামূলক কম দাম পড়ে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ও সেখানকার দরদাম পর্যালোচনায় দেখা যায়, পাড়া–মহল্লার দোকানের তুলনায় বড় বাজারের দোকান থেকে কেজিতে ন্যূনতম ৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত কম দামে মসলা কেনা যায়। যে মসলার দাম যত বেশি, সে মসলা কিনলে তত বেশি অর্থ সাশ্রয় হয়।
রাজধানীতে মসলা বিক্রির বড় পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার। সেখানকার ছোট দোকানগুলোতে খুচরা বা অল্প পরিমাণেও পণ্য বিক্রি হয়, যা পাইকারি দামের অনেকটা কাছাকাছি। আবার কারওয়ান বাজারেও পাইকারি দোকানের পাশাপাশি রয়েছে খুচরা বিক্রির দোকান। এসব বাজার থেকে মসলা কিনলে অনেকটাই অর্থ সাশ্রয় হবে।
কতটা অর্থ সাশ্রয় হয়
ঢাকার শেওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আহসানউল্লাহ গতকাল রাজধানীর মৌলভীবাজার থেকে সাদা এলাচি, কালো এলাচি, লবঙ্গ, ধনে, স্টার ফল ও গোলমরিচ কেনেন। প্রতিটি মসলা ২৫০ গ্রাম করে কিনেছেন তিনি। মৌলভীবাজার থেকে এই ছয় ধরনের মসলা (২৫০ গ্রাম করে) কিনতে তাঁর খরচ হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। আহসানউল্লাহ পরে শেওড়াপাড়ায় বাসার কাছের দোকানে একই পরিমাণ পণ্যের দাম যাচাই করেন। দোকানদার জানান, এই ছয় ধরনের মসলা কিনতে মোট ৫ হাজার ২০০ টাকা লাগবে। অর্থাৎ মৌলভীবাজার থেকে মসলা কেনায় আহসানউল্লাহর প্রায় ২ হাজার ৪০০ টাকা অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। এভাবে প্রতিটি মসলাজাতীয় পণ্যই তুলনামূলক কম দামে কেনা যায় মৌলভীবাজার থেকে।
এই যেমন এলাচের কথাই ধরা যাক। গতকাল বুধবার মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের খুচরা দোকানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকায়। পাড়া–মহল্লার দোকানে এলাচের দাম আরও ৫০০ টাকা বেশি। তবে এদিন মৌলভীবাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকায়। অর্থাৎ মৌলভীবাজারের সঙ্গে মোহাম্মদপুর বাজার ও পাড়া–মহল্লার দোকানে এলাচের দামের পার্থক্য কেজিতে ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।
আরেক মসলা পণ্য জয়ত্রীর দামেও বড় ব্যবধান দেখা যায়। সাধারণ খুচরা দোকানে প্রতি কেজি জয়ত্রীর দাম ৩ হাজার ৬০০ টাকা। তবে মৌলভীবাজার বা কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি জয়ত্রীর দাম ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে সাশ্রয় হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
কোরবানির সময় দারুচিনি, জিরা, লবঙ্গ প্রভৃতি মসলার চাহিদা বেশি থাকে। সাধারণ পাড়া–মহল্লার দোকানে প্রতি কেজি জিরা ৬০০ থেকে ৮০০, দারুচিনি ৫৬০ থেকে ৭০০ ও লবঙ্গ ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। সেখানে মৌলভীবাজার ও কারওয়ান বাজারের দোকানে প্রতি কেজি জিরা ৫৮০ থেকে ৬৮০, দারুচিনি ৪৬০ থেকে ৪৮০ ও লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।
এ ছাড়া রাজধানীর সাধারণ দোকানে ধনিয়ার কেজি ২৪০ টাকা, যা মৌলভীবাজারে বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়। একইভাবে মৌলভীবাজার ও কারওয়ান বাজার থেকে তেজপাতা সাধারণ দোকানের চেয়ে কেজিতেও ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে কেনা যায়। রাজধানীর পাড়া–মহল্লার দোকানে প্রতিটি জয়ফলের দাম ৮-১০ টাকা, আর মৌলভীবাজারে প্রতিটির দাম ৫-৭ টাকা।
বড় বাজার থেকে কিনলে কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, আলুবোখারা, কিশমিশ প্রভৃতি পণ্যেও ভালো অর্থ সাশ্রয় হয়। যেমন সাধারণ এলাকাভিত্তিক বাজারের দোকানে প্রতি কেজি কাজুবাদাম বিক্রি হয় ১ হাজার ৮০০ টাকার আশপাশে। সেখানে কারওয়ান বাজার ও মৌলভীবাজার থেকে ১০৫ থেকে ৩০০ টাকা কম দামে কাজুবাদাম কেনা যায়। এভাবে কাঠবাদামের দামে ১০০ টাকা ও কিশমিশে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মতো সাশ্রয় হয়। আর যাঁদের ব্যবসা বা বড় অনুষ্ঠানের জন্য অনেক বেশি পরিমাণে মসলা প্রয়োজন, তাঁরা পাইকারি দরেই মসলা কিনতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে দাম আরও কম পড়বে।
রাজধানীর মৌলভীবাজারের মসলার দোকান বাদশা স্টোরের বিক্রেতা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক রওয় ন ব জ র মহল ল র দ ক ন হ জ র ৮০০ ট ক ক রব ন র ন র মসল কম দ ম পর ম ণ লবঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে দরজায় কড়া...
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেছেন অনেক বলিউড অভিনেত্রী। কেউ বলেছেন ছোট শহর থেকে মুম্বাইয়ে টিকে থাকার সংগ্রাম নিয়ে, কেউ আবার বলেছেন সিনেমা পরিবারের বাইরে থেকে এসে বলিউডে জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে। এবার নিজে নিজেই হিন্দি সিনেমায় জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দিয়া মির্জা। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল দ্য অফিশিয়াল পিপল অব ইন্ডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেন দিয়া মির্জা। সেখানে তিনি বলিউডে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের নানা ঘটনা নিয়ে কথা বলেন ৪৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনমনে হচ্ছে মা হওয়ার বিষয়টা খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছেন...১১ মে ২০২৫২০০০ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’র মুকুট ওঠে দিয়া মির্জার মাথায়। এরপর ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তিনি একজন ‘বহিরাগত’ হয়েও হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেন। কোনো সমর্থন ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা নিয়ে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দিয়া বলেন, ‘এটা বলতে গেলে আমাকে এ বিষয়ে একটি বই লিখতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর অনেক জটিল, এর অনেকগুলো স্তর রয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি কঠিন এবং ভয়ংকর ছিল।’
দিয়া জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের মধ্যরাতে দরজায় কড়া নাড়ার মতো পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে তিনি নিজের হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে রুম ভাগাভাগি করতেন। দিয়া বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের এড়াতে আমি বহু বছর আমার হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে থেকেছি। এটি আমার জন্য সত্যিই কঠিন ছিল। পেছন ফিরে তাকালে আমার মনে হয়, কীভাবে আমি সেই সময় পার করেছি!’
দিয়া মির্জা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে