ভিড় কমলেও কমলাপুরে এখনো ঘরমুখী মানুষের চাপ
Published: 6th, June 2025 GMT
পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে রাজধানী ছাড়ছে লাখো মানুষ। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কমলাপুর রেলস্টেশনে শনিবার (৭ জুন) ঘরমুখী মানুষের চাপ দেখা গেছে।
এর আগে, গত দুইদিন কমলাপুরে ঢল নেমেছিল ঘরমুখী মানুষের। যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আজ কিছুটা ভিড় কমেছে। তবে মানুষের আনাগোনায় স্টেশন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আজো ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয়ের খবর মেলেনি।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশনে গত দুই-তিনদিনের তুলনায় যাত্রীদের উপস্থিতি কিছুটা কম। অনেকেই স্টেশনে প্রবেশের জন্য বাঁশের তৈরি ব্যারিকেডে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। যাত্রীরা টিকিট প্রদর্শন না করে প্রথম ধাপ পার হতে পারছেন না। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আবারো টিকিট যাচাই করা হচ্ছে। সবশেষ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশে টিকিট প্রদর্শন করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এছাড়া চুরি-ছিনতাইসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত
দাদির সঙ্গে ঈদ করা হলো না আয়শার
বিনা টিকেটে ও ছাদে ভ্রমণ বন্ধে কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে টিকিট যাচাইয়ে কঠোরতা বাড়ানো হয়েছে। কেউ টিকিটবিহীন ধরা পড়লেই জরিমানা করা হচ্ছে, তাকে টিকিট কিনে ট্রেনে উঠতে বাধ্য করা হচ্ছে।
শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় ট্রেনের ঈদযাত্রা এখনো বেশ স্বস্তির। নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু রুটে চলছে ঈদ স্পেশাল ট্রেন।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদযাত্রায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় একটা সময় ছিলো নিয়মিত ঘটনা। তবে, যমুনা রেল সেতু চালু হওয়ায় বদলে গেছে সেই চিত্র। উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনও এখন শিডিউল মেনেই চলে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো.
তিনি বলেন, “ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত স্বস্তির। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নেই।”
আরিফুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, “স্টেশনে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। বিগত দিনগুলোতে স্টেশনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও এবার কোনো সমস্যাই ফেস করতে হয়নি এখন পর্যন্ত। স্টেশন এলাকায় এবার শৃঙ্খলা রয়েছে। যাত্রী ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না।”
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কমল প র ঈদয ত র শ ড উল
এছাড়াও পড়ুন:
নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর ঢাকার রমনা থানায় এ মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি।
মামলার আবেদনে, জি এম কাদেরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনাটি রমনা থানায় ঘটেনি। তারপরও মামলার আবেদনটি নেওয়া হয়েছে। আবেদনটি পর্যালোচনার পাশাপাশি ঘটনার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও আবেদনটি পাঠানো হয়েছে। সবকিছু পর্যালোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়ান দুই দলের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা দলটির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেন। তখন দলের সভাপতি নুরুল হক গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘটনার শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ জানান। তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু নেতা-কর্মী তা উপেক্ষা করে মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করেন। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালান এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশালমিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বাড়ান। তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালান। জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হন বলে জানায় আইএসপিআর।