পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব কারাগারে বিনোদন ও খাবারের বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে কয়েদি ও হাজতিদের জন্য গরু ও খাসি জবাই করা হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, শনিবার কারাগারে অনুষ্ঠিত তিনটি জামাতের মধ্যে একটি বন্দিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অন্য দু'টি জামাত ছিল স্টাফদের জন্য।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় কারাগারে দিনব্যাপী বিশেষ আয়োজনে থাকছে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজন। বিশেষ খাবারের জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে আটটি গরু ও ১০টি খাসি জবাই করা হয়েছে। এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার দুঃস্থ বন্দিদের জন্য ৬০০টি লুঙ্গি এবং ৮৫০টি টি-শার্ট বিতরণ করা হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার একেএএম মাসুদ বলেন, বন্দিরা শনিবার ঈদের দিনের শুরুতেই সকালে নাস্তায় পেয়েছেন পায়েস ও মুড়ি। দুপুরে মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসি (যারা গরু খাবেন না) দেওয়া হবে। এছাড়া কোমল পানীয়, সালাদ, পান সুপারি ও মিষ্টান্ন থাকবে। রাতের আয়াজনে থাকবে ভাত, মাছ, এবং আলুর দম।
কারা অধিদপ্তর বলছে, প্রতি বছর দুই ঈদে সারাদেশের কারাগারগুলোতে বিশেষ আয়োজন থাকে। ঈদের নামাজ আদায়, বিশেষ খাবার এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বিনোদন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঈদ আনন্দে মেতে থাকেন কয়েদি ও হাজতিরা। স্বজনদের সঙ্গে অতিরিক্ত সময় দেখা করার সুযোগ ও বাড়ির রান্না করা খাবার গ্রহণের সুযোগও পান তারা। এবারের ঈদুল আজহায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো.
এছাড়া ঈদের তৃতীয় দিন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণের অংশগ্রহণে প্রিজন ম্যারাথন-২০২৫ আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ, কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পরিবারের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ ল আজহ অন ষ ঠ ন দ র জন য ব তরণ গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদুল আজহা শান্তি, ত্যাগ ও সাম্য শেখায়: প্রধান উপদেষ্টা
‘ঈদুল আজহা মানুষকে শান্তি, ত্যাগ ও সাম্য শেখায়’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও চরম ত্যাগের অনুপম নিদর্শন। হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হন। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আত্মদানের এই সুমহান দৃষ্টান্ত কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।”
আরো পড়ুন:
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা
বাজার ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি
লুটপাট থেকে দেশের মানুষকে বের করে আনার চেষ্টা করছি: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, “মুসলমানরা কোরবানিকৃত পশুর গোশত গরিব আত্মীয়স্বজন ও দুঃস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সবাইকে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক-এই হোক ঈদের চাওয়া।”
পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের শিক্ষা নিজেদের ভেতর ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আসুন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি।”
ঈদুল আজহার এ দিনে প্রধান উপদেষ্টা মহান আল্লাহর কাছে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নতি প্রার্থনা করেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ