এক ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে রাখার পরিণাম কী হতে পারে, জানেন?
Published: 7th, June 2025 GMT
১. চাপ আসার পরও ১০ মিনিট প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রথলি (ইউরিনারি ব্লাডার) থেকে প্রস্রাব করার জন্য মস্তিষ্কে বারবার সংকেত যেতে থাকে। তাতে কেউ অন্য কোনো কাজের অজুহাতে প্রস্রাব চেপে রাখলে কাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হয়। অস্বস্তি হতে থাকে।
২. যদি কেউ এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় প্রস্রাব ধরে রাখেন, তাহলে মূত্রথলির মাংসপেশি দুর্বল হতে শুরু করে এবং প্রস্রাব কিডনির দিকে ফিরে যেতে শুরু করে। যা শরীরের তরল ও বর্জ্য পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট করে।
৩.
৪. ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত প্রস্রাব ধরে রাখলে ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। পরবর্তীকালে প্রস্রাব করতে গেলেও মূত্রথলি থেকে সম্পূর্ণ প্রস্রাব বের হতে চায় না, কিছু মূত্রথলিতে জমা থাকে এবং প্রস্রাবে ইনফেকশন তৈরি করে। তলপেটে ব্যথা, জ্বর হতে পারে। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করে।
৫. কেউ যদি আট ঘণ্টা পর্যন্ত প্রস্রাব আটকে রাখেন, কিডনি নষ্ট হওয়া, কিডনিতে স্থায়ীভাবে পানি জমে যাওয়া, কিডনিতে পাথর হওয়া এবং মূত্রথলির সংক্রামক রোগ হতে পারে। যা পরবর্তীকালে জীবনের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
অনেকেই আবার আছেন, বারবার প্রস্রাবের ভয়ে পানিই কম পান করেন। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পর্যন্ত পানি পান করা উচিত। পানি কম পান করলে বা প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস থাকলে তা এখনই বাদ দেওয়া অতীব জরুরি। তা না হলে কিডনির রোগ হতে পারে। এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। তাই নিজের স্বাস্থ্যের জন্যই নিয়মিত পানি পান করা এবং সময়মতো প্রস্রাব করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস র ব চ প প রস র ব ক প ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।