নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফেরি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিটকে নদীতে পড়ে নিখোঁজের সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার ভোরে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে অটোরিকশাটি মেঘনা নদীতে পড়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নদী থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। অটোরিকশার ভেতর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মৃত দুই নারী হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার রসুলাবাদ এলাকার মোসাদ্দেক হোসেনের স্ত্রী খালেদা বেগম (৪০) ও তাঁর ছেলে সাগর হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বেগম (১৯)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা বেগম তাঁর ছেলে সাগর হোসেন ও কামাল হোসেন এবং পুত্রবধূ ফারজানাকে নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। শনিবার ভোর ছয়টার দিকে বিশনন্দী ঘাটে তাঁদের বহনকারী অটোরিকশা ফেরিতে ওঠে। সেটি ফেরির একবারে পেছনের দিকে ছিল। ফেরিটি ঘাট ছেড়ে যাওয়ার দু-তিন মিনিটের মধ্যে হঠাৎ ঢেউয়ের ঝাঁকুনিতে অটোরিকশাটি নদীতে পড়ে যায়। এতে খালেদা ও ফারজানা নিখোঁজ হন। কামাল ও চালক সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হন। ফেরিতে উঠার পরপরই অটোরিকশা থেকে নেমে গিয়েছিলেন সাগর। এ কারণে তিনি রক্ষা পান। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের ডুবুরি দল দিনভর নদীতে তল্লাশি চালায়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ট্রলার দিয়ে টেনে অটোরিকশাটি ওপরে তোলা হয়। তখন অটোরিকশার ভেতর থেকে ওই দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকতা জানান, ফেরির পেছনে নিরাপত্তাবেষ্টনী ছিল না। নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকলে অটোরিকশাটি ফেরি থেকে নদীতে পড়তে না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তের হামলায় বিএনপি নেতা নিহত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তের হামলায় ইলিয়াস মিয়া (৪১) নামে একজন বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামে তার ওপর হামলা হয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থান শনিবার বিকেলে মারা যান ইলিয়াস। তিনি সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়া স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন ইলিয়াস মিয়াকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে তিনি মারা যান।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন ওসি। তিনি বলেছেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ