ফ্রেঞ্চ ওপেনে নারীদের ফাইনালে অসাধারণ এক ম্যাচের সাক্ষী থাকলো টেনিস বিশ্ব। বিশ্বের এক ও দুই নম্বর তারকার লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সেই উত্তেজনা খেলাতেও দেখা যায়।
কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ার মানসিকতায় শিরোপার লড়াই জমে ওঠে। ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিটের লড়াই শেষে এক নম্বরে থাকা আরিনা সাবালেঙ্ককে হারিয়ে প্রথমবার ফ্রেঞ্চ গ্ল্যান্ডস্লাম জিতেছেন কোকো গফ।
প্যারিসের রোলাঁ গারোসে অনুষ্ঠিত এই ফাইনাল ম্যাচে গফ প্রথম সেট টাইব্রেকারে ৬–৭ (৫–৭) তে হারলেও, পরের দুই সেটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬–২ এবং ৬–৪ ব্যবধানে জিতেন। এই জয়ের মাধ্যমে তিনি ফ্রেঞ্চ ওপেন ইতিহাসে গত ২৩ বছরে সবচেয়ে কম বয়সে শিরোপাজয়ী খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়লেন। এর আগে সর্বশেষ এত কম বয়সে এই শিরোপা জিতেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস।
আরো পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা অক্ষুন্ন রাখলেন সিনার
কিসে থামল সাবালেঙ্কার হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বপ্ন
গফ ২০২৩ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন। সেটাও সাবালেঙ্কাকেই হারিয়ে। তার গ্ল্যান্ড স্ল্যাম জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অপেক্ষাও দূর হয়েছে। ২০১৫ সালে সবশেষ ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। দশ বছর পর দ্বিতীয় মার্কিন খেলোয়াড় হিসেবে এই গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতলেন গফ।
তিন বছর আগে রোলাঁ গারোঁয় নিজের প্রথম ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন গফ। আজকের জয় যেন সেই হারের মধুর প্রতিশোধ।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ