হবিগঞ্জে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০
Published: 8th, June 2025 GMT
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজনীতি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ জুন) বিকেলে ঘটনাটি ঘটে বলে জানান মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন এবং একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আওয়ামী লীগের নেতা বেনু মিয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। গতকাল বিকেলে মাসুদ খান গ্রুপের হাজী মহিবউল্লাহ বেজুড়া গ্রামের বাড়ি থেকে বাজারে যাচ্ছিলেন। বেজুড়া বাসস্টেশন এলাকায় বেনু মিয়ার লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। পরে এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
বাঘাইছড়িতে গোলাগুলি, শিশু গুলিবিদ্ধ
সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- বশির উল্লাহ (৩০), লাখাছ মিয়া (২৫), গাজী মিয়া (৩৫), ইমানউল্লাহ (৪০), রাফিউল্লাহ (২৪), মুখলেছ মিয়া (৩৫), মহিবউল্লাহ (৭০), শের আলী (৫০), হোসাইন মিয়া (৩২), বাছির মিয়া (৩০), তাউস মিয়া (৬০), ওমর ফারুক (২৫), আব্দুর রহমান (৩৫), আকাশ মিয়া (২৪), মেহেদী হাসান (২২), মোবারক মিয়া (৫০) ও হারিছ মিয়াকে (৪৫) মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত ম ধবপ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।