রাত ১০টার মধ্যেই সব সিটি করপোরেশনে বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: আসিফ মাহমুদ
Published: 8th, June 2025 GMT
শনিবার ঈদের দিন রাত দশটার মধ্যে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার সকালে তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘১২টি সিটি করপোরেশনের ৪৮৭টি ওয়ার্ড ১০০% বর্জ্য অপসারণ রাত ১০টার মধ্যেই। এটি সম্ভব হয়েছে সম্মিলিত পরিকল্পনা, পরিশ্রম ও ভালোবাসার কারণে।
তিনি আরো লেখেন, ‘এটা শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটা আমাদের প্রতিশ্রুতির জয়- পরিচ্ছন্নতা এখন শুধু অঙ্গীকার নয়, বাস্তবতা।’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে সঙ্গে তিনি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। যাতে উল্লেখ করা হয়-১২টি সিটি কর্পোরেশনের মোট অপসারিত বর্জ্য ৪০,১০৪ টন এবং মোট নিয়োজিত জনবল ৩৫,২৭২ জন।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে আরেক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘১২ ঘন্টারও কম সময়ে পরিষ্কার ঢাকা। নগরবাসীর দায়িত্ববোধ আর পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। পরিচ্ছন্ন শহর শুধু একটি লক্ষ্য নয়, এটি একটি প্রতিদিনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সকল সহকর্মীর প্রতি ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।