নির্বাচনী প্রচারে গুলিবিদ্ধ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিগুয়ে
Published: 8th, June 2025 GMT
কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও বর্তমান সেনেটর মিগেল উরিবে।
শনিবার (৭ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জানা গেছে, ৩৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিককে মাথায় দু’বার ও শরীরের অন্য একটি অংশে গুলি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
ডেমোক্র্যাটিক সেন্টার পার্টি এক বিবৃতিতে এ হামলার নিন্দা করেছে। বিবৃতিতে দলটি বলেছে, সেনেটর উরিবে বোগোতার ফন্তিবন এলাকার সরকারি এক পার্কে একটি প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, সেখানে ‘সশস্ত্র গোষ্ঠী’ পেছন থেকে তার ওপর গুলি চালায়।
কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেদ্রো সানচেস জানিয়েছেন, গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছেন কি না কর্তৃপক্ষ তা তদন্ত করে দেখছে।
এ ঘটনায় বিষয়ে তথ্য দিতে পারলে তথ্যদাতাকে প্রায় সাত লাখ ৩০ হাজার ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কলম্বিয়ার সরকার।
সিনেটর মিগুয়েল উরিবের স্ত্রী মারিয়া ক্লাউডিয়া তারাজোনা দেশবাসীর কাছে তার স্বামীর জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মিগুয়েল এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। যারা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেসব চিকিৎসকের হাত যেন ঈশ্বর পরিচালনা করেন—এই প্রার্থনাই করি।”
মিগেল উরিবে কলম্বিয়ার একটি প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। তার মা ডায়না তুর্বাই ছিলেন প্রথিতযশা সাংবাদিক, যিনি মাদক ব্যবসা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে নির্ভীক রিপোর্টিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। ১৯৯০ সালে কুখ্যাত মাদক সম্রাট পাবলো এসকোবারের নেতৃত্বাধীন মেডেলিন কার্টেল তাকে অপহরণ করে। এক বছর পর, ১৯৯১ সালে, উদ্ধার অভিযানের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
কলম্বিয়া কয়েক দশক ধরে বামপন্থি বিদ্রোহী, ডানপন্থি আধাসামরিক বাহিনী থেকে আসা অপরাধী গোষ্ঠী এবং সরকারি বাহিনীগুলোর মধ্যে চলা সংঘাতের কারণে অস্থির হয়ে আছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কলম ব য় র
এছাড়াও পড়ুন:
এখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরন হয়নি সাভারের ট্যানারিতে
সাভারে শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া গতবারের চেয়ে সরবরাহ কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যানারিমালিকেরা। তাদের দাবি, সরকার বিনামূল্যে লবণ দেওয়ায় অনেক মাদ্রাসা এবং এতিমখানা কর্তৃপক্ষ তাদের সংগৃহীত চামড়া নিজেরাই লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন। ফলে এবার ট্যানারিগুলোতে চামড়া সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলা থেকে কোনো চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারায় চাহিদা মতো চামড়া সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ বছর ট্যানারিতে ৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৫ হাজার সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভারের হেমায়েতপুর হরিণধরা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক ট্যানারিতে চামড়ার স্তূপ আগের চেয়ে কম। কাঙ্ক্ষিত চামড়া না থাকায় শ্রমিকদের লবণ লাগানোর কোনো কর্মব্যস্ততা নেই। বেশিরভাগ কারখানায় মালিক অথবা দায়িত্বরত কর্মকর্তার উপস্থিতি দেখা যায়নি।
কিছু কিছু ট্যানারিতে অল্প পরিমাণের চামড়ায় লবণ মাখিয়ে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ চামড়ার সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত অংশ কেটে লবণ লাগাচ্ছেন। তবে চামড়ার সরবরাহ কম থাকায় অনেক ট্যানারিতেই শ্রমিকদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
সোনারবাংলা ট্যানারির মালিক আব্দুর শহিদ দুলাল জানান, সারাবিশ্বেই চামড়ার মূল্য কমে যাওয়ায় বাংলাদেশেও চামড়া শিল্পে এখন মন্দা অবস্থা। আমরা বেশি দামে কিনলে সেই চামড়া থেকে লাভ করা কঠিন। তবে আমরা সরকারের নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া ক্রয় করছি।
মা সুফিয়া ট্রেডার্সের মালিক মোহন বাদশা বলেন, গতবারের চেয়ে এবার চামড়ার সরবরাহ কম। সরকার নির্ধারিত মূল্যেই আমরা চামড়া আকার ভেদে ৮০০-৯০০ টাকায় ক্রয় করছি। যারা ভালো চামড়া আনতে পারেন, তারা মূল্য ভালো পান। আবার যারা নষ্ট চামড়া নিয়ে আসেন তারা তুলনামূলক দাম কম পান।
বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমতা লেদার কমপ্লেক্সের মালিক মিজানুর রহমান সমকালকে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ১০ দিনের মধ্যে ঢাকায় বাহিরের চামড়া প্রবেশ করতে পারবে না। রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৫ হাজার চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। যেটা কমপক্ষে ৫ লাখ হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সিলেট থেকে ২ হাজার চামড়া এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার এ বছর ঢাকার মধ্যে সর্বনিম্ন লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং প্রতি বর্গফুট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। যেটা সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে। চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা হলে প্রতি বর্গফুট পড়বে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। তাই সরকারের এ দাম নির্ধারণ যুক্তিযুক্ত হয়নি।