প্রীতির প্রশ্নে পন্টিংয়ের জবাব—আমার পাশে একবার বসো, তখন বুঝবে
Published: 8th, June 2025 GMT
একজন বলিউড অভিনেত্রী, আরেকজন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তবে আইপিএলে প্রীতি জিনতা ও রিকি পন্টিংয়ের সম্পর্কটা ভিন্ন পরিচয়ের। প্রীতি পাঞ্জাব কিংসের অন্যতম মালিক, পন্টিং প্রধান কোচ। দল পরিচালনায় দুজনের ভূমিকাই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এবারের আইপিএলে ফাইনালে খেলেছে পাঞ্জাব, যদিও বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে গেছে। টুর্নামেন্ট শেষে সামনে এল মালিক–কোচের এক আন্তরিক আলাপচারিতা। যেখানে প্রীতির প্রশ্নে নিজের বিষয়ে ভুল ভাঙিয়েছেন পন্টিং।
আরও পড়ুনস্বামী ক্রিকেটার, স্ত্রীও ক্রিকেটার: স্টার্ক, হ্যাডলিসহ ৫ দম্পতির গল্প২ ঘণ্টা আগেপাঞ্জাব কিংসের এক্স হ্যান্ডল থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রীতি কোচ পন্টিংকে প্রশ্ন করেন, খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে আগ্রাসী হলেও কোচ হিসেবে তিনি ডাগআউটে শান্ত ও চুপচাপ কীভাবে থাকেন? প্রশ্ন শুনে কিছুটা অবাকই হন পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক জানান, বাইরে থেকে যতটাই শান্ত মনে হোক, বাস্তবে আলাদা। আসল অভিজ্ঞতা পেতে প্রীতিকে ডাগআউটে বসার আমন্ত্রণও জানান এই কিংবদন্তি।
পন্টিং জবাবটা দিয়েছেন এভাবে, ‘তুমি ডাগআউটে আমার পাশে বসে দেখো, তাহলে বুঝতে পারবে বিষয়টা আসলে কেমন। আমি সহজাতভাবেই আগ্রাসী, বিশেষ করে যখন ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তখন।’
আরও পড়ুনসিঙ্গাপুরের বিপক্ষে প্রথম খেলার স্মৃতি১ ঘণ্টা আগেপন্টিং আরও বলেন, তিনি চেষ্টা করেন নিজেকে একজন কোচ হিসেবে প্রতিনিয়ত উন্নত করতে এবং খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে সেরাটা বের করে আনতে। তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেটের বাইরে আমি হাসি-তামাশা করি, গল্প করি। কিন্তু যখন ক্রিকেটের সময় আসে, তখন আমার কাজ হলো দলের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স নিশ্চিত করা। আমি একটি মিনিট, একটি দিন বা একটি অনুশীলন সেশনও নষ্ট করতে রাজি নই, যেখানে আমি সেরা কোচ হওয়ার চেষ্টা করব না বা আমার সঙ্গে থাকা প্রতিটি খেলোয়াড়কে সেরা খেলোয়াড়ে পরিণত করার চেষ্টা করব না।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ঈদের দিনেও ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২০
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি আজ শুক্রবার (৬ জুন) ইসলামের অন্যতম পবিত্র উৎসব ঈদুল আজহার প্রথম দিনেও ফিলিস্তিনিদের রেহাই দেয়নি ইসরায়েল।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, শুক্রবার ঈদুল আজহার প্রথমদিন সকালে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা ও কামানের গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এতে ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একাধিক অভিযান চালিয়েছে, অন্যদিকে ভারী কামান শহরের মধ্য, উত্তর এবং পূর্ব অংশে আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে।
আরো পড়ুন:
গাজায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, নিহত ৪
ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জার্মানির
চিকিৎসা সূত্রের মতে, খান ইউনিসের অবরুদ্ধ আল-সারায়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক শিশু নিহত হয়েছে। শহরে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি হামলায় আহত আরো একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
খান ইউনিসের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাঁবুর মাঝখানে স্থাপিত একটি মোবাইল ফোন চার্জিং স্টেশনে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
রাফায়, মার্কিন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আরো চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর, উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচে একজনের মরদেহ খুঁজে পেয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা উত্তর খান ইউনিসে একাধিক আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় আবাসিক ভবনগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ঈদের আগের দিন রাতে গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় শিশু, নারী এবং সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজায় ঈদের সময় এমন নির্মম দৃশ্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর ইতিমধ্যে তিনটি ঈদ এভাবেই কেটেছে সেখানকার বাসিন্দাদের। আজ এ যুদ্ধের ৬০৮তম দিনে চতুর্থ ঈদের দিনটিও দুর্বিষহ হয়ে এসেছে তাদের জীবনে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৪ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ঢাকা/ফিরোজ