কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (৮ জুন) বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের পিটিআই মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নাসরিন সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। জানাজার আগ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী। এসময় তিনি স্ত্রীর কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কাদের সিদ্দিকীর ভাই ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকা বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত ইসলামীর আমির আহসান হাবীব মাসুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এর আগে, সকালে নাসরিন সিদ্দিকীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীর বাসায় পৌঁছায়। এসময় কাদের সিদ্দিকীর রাজনৈতিক সহকর্মী, সমর্থক, অনুসারী ও পরিবারের সদস্যরা নাসরিন সিদ্দিকীর মরদেহ এক নজর দেখতে বাসায় ভিড় করেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামে বাদ আছর দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে নাসরিন সিদ্দিকীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

গত ২২ মে নাসরিন সিদ্দিকীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। প্রথমে তাকে ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গত ২৩ মে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়।

শনিবার (৭ জুন) দিবাগত রাত ১১টায় নাসরিন সিদ্দিকী মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

ঢাকা/কাওসার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছোট্ট সন্তানের লাশ নিয়ে বাবার বিলাপ, ‘ও আমার আয়েশা তুই কোথায় গেলিরে’

ছোট্ট শিশুটির নাম আয়েশা, বয়স মাত্র দুই বছর। গায়ে সাদা ফ্রক। পরনে নীল হাফ প্যান্ট। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে বাবার কোলে ঘুমিয়ে আছে সে। কিন্তু কাছে যেতেই দেখা গেল শিশুটি নিথর। ছোট্ট মাথাটি ফেঁটে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। সেই রক্তে লাল হয়ে যাচ্ছে বাবার টি-শার্ট। এক হাতে শিশুটিকে বুকে নিয়ে হাঁটছেন তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। আর মুখে সজোরে বলছেন, ‘আল্লাহু আকবর। আল্লাহু আকবর’।

পরে রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেছে শিশুটিকে।

সন্তানকে মৃত ঘোষণার পর মধ্যরাতে হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়েই জোরে জোরে বিলাপ করছেন আয়েশার বাবা সাজ্জাদুন নূর। বলছেন, ‘ও আমার আয়েশা, তুই কোথায় গেলিরে! আমার মেয়ে তো কিছুই বুঝতো না। তার কি দোষ ছিল? তাকে কেন নিয়ে গেল আল্লাহ।’

এসময় পাশেই ছিলেন সাজ্জাদের স্ত্রী জুবাইদা ফেরদৌস। তিনিও বিলাপ করছিলেন। এসময় বেশ কয়েকবার জ্ঞানও হারান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে বোয়ালখালী উপজেলায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এ ঘটনায় শিশু আয়েশাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

চমেক হাসপাতালে এসেছেন ছোট্ট আয়েশার এক আত্মীয় ওয়াহিদ। তিনি সমকালকে বলেন, আয়েশার বাবা সাজ্জাদের বাড়ি বোয়ালখালীর মুন্সিপাড়া এলাকায়। পরিবারটি ঈদ করতে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছিল। কিন্তু ঈদের আগেই প্রাণ গেল তাদের শিশু সন্তানের।

এদিকে নিহত আরও এক জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন উত্তর গোমদন্ডী ২নং ওয়ার্ড বাংলা পাড়ার মুহাম্মদ আবুল মনসুরের একমাত্র ছেলে মুহাম্মদ তুষার।

আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আসিফ উদ্দিন বাপ্পি, আসমা আহমেদ ও আঞ্জু আরা। আহত পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছোট্ট সন্তানের লাশ নিয়ে বাবার বিলাপ, ‘ও আমার আয়েশা তুই কোথায় গেলিরে’
  • সিগন্যাল অমান্য করে সেতুতে উঠে অটোরিকশা-মোটরসাইকেলে ধাক্কা ট্রেনের, নিহত ৩