আমির খানকে বলা হয় বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। অভিনয়গুণে এই তকমা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে অন্য এক মানুষ তিনি। তাকে আর যাইহোক ব্যক্তি আমির খানকে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ বলা যায় না।
অভিনয়ের প্রতি তিনি যত সচেতন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঠিক ততটা নন। যদিও দুই প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমানে সৌজন্য বজায় রেখেছেন। বন্ধুত্ব রয়েছে তাদের মধ্যে। এখনও সুখ, দুঃখ ভাগাভাগি করে চলেছেন। কিন্তু এই সম্পর্কগুলো ভাঙার পেছনে তিনি দায়ী!
আমির খানের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল কোনটি? এমন প্রশ্নে আমির বলেন, ‘‘ভুল তো অনেক করেছি। একটা নয়, অনেক। রিনা আর আমি খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করে ফেলেছিলাম। আমি তখন ২১, ওর বয়স ছিল ১৯। আমরা একে অপরকে চেনার সুযোগই ঠিকমতো পাইনি, মাত্র চার মাসের পরিচয়ে বিয়ে করেছিলাম। তখন একটু ভেবে নেওয়া উচিত ছিল। ওই বয়সে অনেক কিছুই বোঝা যায় না, আবেগে অনেক কিছু করে ফেলা হয়।’’
আরো পড়ুন:
লজ্জার অভিজ্ঞতা জানালেন জেমি লিভার
কত টাকার মালিক রাশমিকা?
তবে এই বিয়ের মাধ্যমে তিনি জীবনের জন্য অনেক কিছু পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। একটি পডকাস্টে আমির আরও বলেন, ‘‘বাস্তবে আমি জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার ইরা আর জুনায়েদকে পেয়েছি ওই বিয়ের মাধ্যমেই। আমি ও রিনা একসঙ্গে ১৬ বছর কাটিয়েছি। কেউ চাইলে একে ভুল বলতে পারেন, কিন্তু আমি মনে করি, ওটা না হলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।’’
সে সময় আমির খানের ক্যারিয়ার ছিল একেবারে তুঙ্গে। আর সেই জোয়ারে গা ভাসিয়েছিলেন আমির। ধ্যান, ধারণা সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন সিনেমার জন্য। ভেঙে গিয়েছিলো তাদের সাজানো সংসার।
আমির খানের দ্বিতীয় বিয়েও ভেঙেছে নাকি তারই দোষে। ভারতীয় গণমাধমে এমনটাই জানিয়েছেন আমির খান। তিনি নাকি সম্পর্কে আহত হলে নাকি আবেগহীন হয়ে পড়েন। আর সে সময় মনের কষ্ট মুখ ফুটে বলতে পারেন না। এই মনের কথা বলতে না পারেন না।
বেশ কিছুদিন হলো আমির খানের সিনেমা বক্স অফিসে হিট করতে পারছে না। যে সিনেমার জন্য এতো কিছু সেই সিনেমাতে অনেকদিন সফল হতে পারছেন না আমির খান।
২০১৯ এ ‘ঠগস অফ হিন্দুস্তান’, তারপর ‘লাল সিংহ চড্ডা’ সিনেমাগুলো ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। এরপর আমির খান ভেবেছিলেন সিনেমা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু প্রাক্তন স্ত্রী কিরণের অনুরোধে আবার সিনেমা বানাচ্ছেন। যদিও ‘লাল সিংহ চড্ডা’ যে ব্যর্থ হবে, আগে ভাগে বুঝতে পারেননি আমির। আর ‘ঠগস অফ হিন্দুস্তান’ সিনেমাটি যে একেবারেই চলবে না তা বুঝে গিয়েছিলেন। তাই নাকি একেবারে নিরবতা পালন শুরু করেছিলেন। এই সিনেমা মুক্তির আগেই তিনি কিরণকে বলেছিলেন, ‘‘এই সিনেমা চলবে না দেখে নিও।’’
কিরণও আহত হয়েছিলেন আমিরকে এভাবে চুপসে যেতে দেখে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন আম র খ ন র ন আম র অন ক ক
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভাতিজাকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মারা গেছেন চাচা ও ভাতিজা দুজনেই। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন উপজেলার বাথুয়া গ্রামের নাছির উদ্দীন চৌধুরী (৫২) ও তাঁর ভাতিজা আরিয়ান চৌধুরী (১৪)। আরিয়ান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে নাছির উদ্দীনের ছোট ভাই আইয়াছ উদ্দীন বাহারের ছেলে।
পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, চাকরি সূত্রে চট্টগ্রামের রাউজানে ভাড়া বাসায় থাকে আইয়াছ উদ্দীনের পরিবার। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে তাঁরা গ্রামে এসেছিলেন।
নাছির উদ্দীনের স্বজন শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাচা নাছির উদ্দীন ভাতিজা আরিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরে গোসল করতে যান। এ সময় তিনি আরিয়ানকে সাঁতার শেখাতে শেখাতে পুকুরের মাঝখানে চলে যান। দুজনই সাঁতার জানতেন না। একপর্যায়ে তাঁরা পানিতে তলিয়ে যান।
এরপর দীর্ঘ সময় ঘরে না ফেরায় স্বজনেরা তাঁদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজনসহ স্বজনেরা পুকুরে নেমে তাঁদের খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জুয়েল কান্তি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, পুকুরে সাঁতার শেখানোর সময় চাচা-ভাতিজা দুজনই ডুবে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুজনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়।’