Risingbd:
2025-11-03@03:24:38 GMT

যে কষ্ট বয়ে বেড়ান আমির খান

Published: 9th, June 2025 GMT

যে কষ্ট বয়ে বেড়ান আমির খান

আমির খানকে বলা হয় বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। অভিনয়গুণে এই তকমা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে অন্য এক মানুষ তিনি। তাকে আর যাইহোক ব্যক্তি আমির খানকে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ বলা যায় না। 

অভিনয়ের প্রতি তিনি যত সচেতন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঠিক ততটা নন। যদিও দুই প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমানে সৌজন্য বজায় রেখেছেন। বন্ধুত্ব রয়েছে তাদের মধ্যে। এখনও সুখ, দুঃখ ভাগাভাগি করে চলেছেন। কিন্তু এই সম্পর্কগুলো ভাঙার পেছনে তিনি দায়ী! 

আমির খানের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল কোনটি? এমন প্রশ্নে আমির বলেন, ‘‘ভুল তো অনেক করেছি। একটা নয়, অনেক। রিনা আর আমি খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করে ফেলেছিলাম। আমি তখন ২১, ওর বয়স ছিল ১৯। আমরা একে অপরকে চেনার সুযোগই ঠিকমতো পাইনি, মাত্র চার মাসের পরিচয়ে বিয়ে করেছিলাম। তখন একটু ভেবে নেওয়া উচিত ছিল। ওই বয়সে অনেক কিছুই বোঝা যায় না, আবেগে অনেক কিছু করে ফেলা হয়।’’

আরো পড়ুন:

লজ্জার অভিজ্ঞতা জানালেন জেমি লিভার

কত টাকার মালিক রাশমিকা? 

তবে এই বিয়ের মাধ্যমে তিনি জীবনের জন্য অনেক কিছু পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। একটি পডকাস্টে আমির আরও বলেন, ‘‘বাস্তবে আমি জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার ইরা আর জুনায়েদকে পেয়েছি ওই বিয়ের মাধ্যমেই। আমি ও রিনা  একসঙ্গে ১৬ বছর কাটিয়েছি। কেউ চাইলে একে ভুল বলতে পারেন, কিন্তু আমি মনে করি, ওটা না হলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।’’

সে সময় আমির খানের ক্যারিয়ার ছিল একেবারে তুঙ্গে। আর সেই জোয়ারে গা ভাসিয়েছিলেন আমির। ধ্যান, ধারণা সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন সিনেমার জন্য। ভেঙে গিয়েছিলো তাদের সাজানো সংসার।

আমির খানের দ্বিতীয় বিয়েও ভেঙেছে নাকি তারই দোষে। ভারতীয় গণমাধমে এমনটাই জানিয়েছেন আমির খান। তিনি নাকি সম্পর্কে আহত হলে নাকি আবেগহীন হয়ে পড়েন। আর সে সময় মনের কষ্ট মুখ ফুটে বলতে পারেন না। এই মনের কথা বলতে না পারেন না।

বেশ কিছুদিন হলো আমির খানের সিনেমা বক্স অফিসে হিট করতে পারছে না। যে সিনেমার জন্য এতো কিছু সেই সিনেমাতে অনেকদিন সফল হতে পারছেন না আমির খান। 

২০১৯ এ ‘ঠগস অফ হিন্দুস্তান’, তারপর ‘লাল সিংহ চড্ডা’ সিনেমাগুলো ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। এরপর আমির খান ভেবেছিলেন সিনেমা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু প্রাক্তন স্ত্রী কিরণের অনুরোধে আবার সিনেমা বানাচ্ছেন। যদিও ‘লাল সিংহ চড্ডা’ যে ব্যর্থ হবে, আগে ভাগে বুঝতে পারেননি আমির। আর ‘ঠগস অফ হিন্দুস্তান’ সিনেমাটি যে একেবারেই চলবে না তা বুঝে গিয়েছিলেন। তাই নাকি একেবারে নিরবতা পালন শুরু করেছিলেন। এই সিনেমা মুক্তির আগেই তিনি কিরণকে বলেছিলেন, ‘‘এই সিনেমা চলবে না দেখে নিও।’’ 

কিরণও আহত হয়েছিলেন আমিরকে এভাবে চুপসে যেতে দেখে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন আম র খ ন র ন আম র অন ক ক

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশে গিয়েও সুদিন ফেরেনি, কলা চাষে এল সাফল্য

দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত এক একর জমি এখন সবুজে আচ্ছাদিত। সেখানে দেড় বছর আগে রোপণ করা হয় ৩২০টি কলা গাছ। সঠিক পরিচর্যা পেয়ে গাছগুলো সুস্থ ও সবল হয়ে বেড়ে উঠেছে। সারি সারি কলাগাছে ঝুলছে কলার ছড়া। মেহের সাগর জাতের এই কলা চাষে সুদিন ফিরেছে বিদেশ ফেরত আবু সিদ্দিকের।

আবু সিদ্দিক (৫৫) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা। স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। ২০১৭ সালে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। সেখানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে অধিকাংশ সময় বেকার থেকেছেন। তাই প্রবাসে গিয়েও সচ্ছলতার মুখ দেখেননি। ২০২৪ সালে দেশে ফিরে আসেন সিদ্দিক। স্থানীয় বাজারগুলোতে সারা বছর চাহিদা থাকায় কলা চাষের উদ্যোগ নেন, তবে তাঁর নিজের কোনো জমি নেই।

লোহাগাড়া উপজেলা সদর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে আট কিলোমিটার দক্ষিণে চুনতি শাহ সাহেব গেট। সেখান থেকে চুনতি ইসহাক মিয়া সড়ক ধরে গেলে হাতের ডানে একটি মাঠের পর চুনতি সুফি নগর বাগানপাড়া এলাকায় আবু সিদ্দিকের কলাবাগানটি চোখে পড়ে।

আবু সিদ্দিক বলেন, খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পরিত্যক্ত এক একর জমি চোখে পড়ে তাঁর। বছরে ছয় হাজার টাকায় ওই জমি ভাড়া নেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে গত বছরের জুনে শুরু করেন কলা চাষ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ টাকা দরে ৩২০টি চারা সংগ্রহ করেন তিনি। এতে তাঁর খরচ হয় ১৩ হাজার টাকা। রোপণের ১০ মাস পর কলা বিক্রির উপযোগী হয়। সাত মাস আগে থেকেই তিনি কলা বিক্রি শুরু করেছেন। শ্রমিকের মজুরি, সার, কীটনাশক ও নিয়মিত সেচ বাবদ এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। প্রতিটি ছড়া গড়ে ৫০০ টাকা দরে গত ৭ মাসে আড়াই লাখ টাকার কলা বিক্রি করেছেন তিনি। এখন খরচ বাদে কলা ও গাছের চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পান সিদ্দিক।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, ১ একর আয়তনের জমিতে ৬ ফুট দূরত্বে রোপণ করা হয়েছে ৩২০টি মেহের সাগর জাতের কলাগাছ। একটি গাছ থেকে নতুন চারা গজিয়ে আরও চার থেকে পাঁচটি গাছ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি আট ফুট উচ্চতার প্রাপ্তবয়স্ক গাছে ঝুলছে কলার ছড়া। একেকটি ছড়ায় রয়েছে ৮০ থেকে ১৫০টি কলা। আবু সিদ্দিক সেখানে কলাগাছের আগাছা পরিষ্কার করছিলেন।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, ১ একর আয়তনের জমিতে ৬ ফুট দূরত্বে রোপণ করা হয়েছে ৩২০টি মেহের সাগর জাতের কলাগাছ। একটি গাছ থেকে নতুন চারা গজিয়ে আরও চার থেকে পাঁচটি গাছ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি আট ফুট উচ্চতার প্রাপ্তবয়স্ক গাছে ঝুলছে কলার ছড়া। একেকটি ছড়ায় রয়েছে ৮০ থেকে ১৫০টি কলা।

কলা চাষে সফলতার মুখ দেখে উৎসাহিত হয়ে এক মাস আগে আধা কিলোমিটার দূরত্বে নতুন করে ২ বিঘা জমিতে আরও ৬০০টি কলাগাছ লাগিয়েছেন সিদ্দিক। তিনি বলেন, কলা চাষে প্রথমবার চারা কিনতে যে ব্যয় হয়েছিল, পরের বার তা ব্যয় হবে না। খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। প্রতিবছর চারা বিক্রির টাকা দিয়ে খরচ মেটানো সম্ভব হবে। এতে এক একর এই বাগান থেকে খরচ বাদে প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় হবে তাঁর। স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা বাগানে এসে কলা নিয়ে যান। তাই বাড়তি শ্রম ও পরিবহন খরচ দিয়ে বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। জমি পেলে কলা চাষের পরিধি বাড়াবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে লোহাগাড়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, কঠোর পরিশ্রমের কারণে আবু সিদ্দিক সফল হয়েছেন। তাঁকে প্রণোদনা হিসেবে সার ও অর্থসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লোহাগাড়ার আবহাওয়া ও মাটি কলা চাষের জন্য উপযোগী। তা ছাড়া এ অঞ্চলে কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ