সিরাজগঞ্জে যুব শক্তির গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ
Published: 9th, June 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুব শক্তি’ গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ মোড় থেকে তারা গণসংযোগ শুরু করে। সেটি চড়ুইমুড়ি, গয়হাট্টা, কয়ড়া, মোহনপুর, বড়পাঙ্গাশী হয়ে উধুনিয়ায় গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে, উল্লাপাড়া উপজেলার পৌর মুক্তমঞ্চে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- জাতীয় যুব শক্তির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী। দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোশারফ আদনানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠক ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ স্থানীয় এনসিপি নেতারা
আরো পড়ুন:
কোরবানির বর্জ্য অপসারণে এনসিপির ৩ দিনের কর্মসূচি
বাজেটে জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি: নাহিদ
দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী বলেন, “আগামীতে এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যে দেশে কারো পেছনে ঘুরে ঘুরে নয়, কৃষকের ছেলে যদি নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী অর্জন করতে পারে- সেও নেতৃত্ব দেবে। যার যার যোগ্যতায় সে সঠিক স্থান পাবে। যারা মেধা ও যোগ্যতায় দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে, তারাই ক্ষমতায় থাকবেন।”
তিনি বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুথানের পরে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে পারতাম। তবে আমরা নিজেদের সুন্দর ভবিষ্যত রেখে রাজপথে নেমেছি, মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। এদেশের মানুষ বৈষ্যমের শিকার। ক্ষমতায় একদল যাচ্ছে, একদল আসছে, এরা মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ। কোনো পরিবর্তন নেই।”
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস