সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুব শক্তি’ গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে। 

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ মোড় থেকে তারা গণসংযোগ শুরু করে। সেটি চড়ুইমুড়ি, গয়হাট্টা, কয়ড়া, মোহনপুর, বড়পাঙ্গাশী হয়ে উধুনিয়ায় গিয়ে শেষ হয়। 

এর আগে, উল্লাপাড়া উপজেলার পৌর মুক্তমঞ্চে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- জাতীয় যুব শক্তির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী। দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোশারফ আদনানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠক ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ স্থানীয় এনসিপি নেতারা

আরো পড়ুন:

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে এনসিপির ৩ দিনের কর্মসূচি

বাজেটে জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি: নাহিদ

দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী বলেন, “আগামীতে এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যে দেশে কারো পেছনে ঘুরে ঘুরে নয়, কৃষকের ছেলে যদি নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী অর্জন করতে পারে- সেও নেতৃত্ব দেবে। যার যার যোগ্যতায় সে সঠিক স্থান পাবে। যারা মেধা ও যোগ্যতায় দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে, তারাই ক্ষমতায় থাকবেন।”

তিনি বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুথানের পরে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে পারতাম। তবে আমরা নিজেদের সুন্দর ভবিষ্যত রেখে রাজপথে নেমেছি, মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। এদেশের মানুষ বৈষ্যমের শিকার। ক্ষমতায় একদল যাচ্ছে, একদল আসছে, এরা মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ। কোনো পরিবর্তন নেই।” 

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী