রাজধানীতে পৃথক স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার
Published: 9th, June 2025 GMT
রাজধানীর শাহবাগ ও যাত্রাবাড়ী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ জুন) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শাহবাগ থানাধীন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের বিপরীত পাশের ফুটপাত থেকে এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ফুটপাতে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা কেউ ওই ব্যক্তিকে চেনেন না। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থ জনিত কারণে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
ঈদে নানার বাড়ি বেড়াতে এসে নদে ডুবে শিশুর মৃত্যু
হজে আরো ২ বাংলাদেশির মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, ‘‘যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইল কাউন্সিল অফিস সংলগ্ন আন্ডার পাশের নিচের রাস্তা থেকে এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’’
স্থানীয়দের বরাতে তিনি আরো বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তি একজন ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ফুটপাতে থাকতেন, সেখানেই ঘুমাতেন। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থ জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’’
ঢাকা/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বিএনপি কর্মী কুদরত আলীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে এস এম তানভীর আরাফাতকে কুষ্টিয়া আদালতে আনা হয়। এরপর দৌলতপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পারভেজের আদালতে হাজিরা করা হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ১টা ৫১ মিনিটে আদালত থেকে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির আরেক কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কুষ্টিয়া কারাগারে আছেন।
আরো পড়ুন:
মেহেরপুরে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ‘শুটার’ মান্নান নিহত
উপপুলিশ কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়। কুষ্টিয়ায় চাকরিকালে বিতর্কিত ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। কুষ্টিয়া জেলায় আসার পর থেকে নানা কর্মকান্ডে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এমনকি, তখন এ সব কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। বিভাগীয় শাস্তিও পেতে হয়।
নিহত বিএনপি কর্মী কুদরত আলীর ছেলে বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, কুদরত আলী বিএনপির সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি দলের সঙ্গে আছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও কিছু সুবিধাভোগী পুলিশ সদস্য কুদরত আলীকে মিথ্যা মামলায় আটক ও হত্যার পরিকল্পনা করে। এই ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার, এসআই রোকনুজ্জামান, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই শাহজাহান, এএসআই আনিচুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আহমেদসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা কুদরত আলীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। ২০২০ সালের ২৩ জুলাই রাত ২টার দিকে ১০-১২ জন পুলিশ কুদরত আলীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ২৫ জুলাই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বুকের ডান দিকে ও বাম দিকে দুটি গুলির চিহ্ন, দুই হাতে, পিঠে, মুখে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
বাদী মামলায় দাবি করেন, কুদরত আলীকে গুম করে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে লাশ হাসপাতালের মর্গে রেখে চলে যায়।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ জানান, দৌলতপুর থানার একটি মামলায় এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন।
২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়া সাবেক এসপি এস এম তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহত সুজনের রাজনৈতিক বড় ভাই সুজন হোসেন (৪২) বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহত সুজন মালিথা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের ইসমাইল মালিথার ছেলে।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল