গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকায় কারখানার ছয়টি ঝুটের (পরিত্যক্ত মালামাল) গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে গুদামে থাকা প্রায় সব মালামাল পুড়ে গেছে। আজ সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, মহানগরীর আমবাগ এলাকায় বেশ কয়েকজন ঝুট ব্যবসায়ীর গুদাম রয়েছে। সেই গুদাম থেকেই ব্যবসায়ীরা মালামাল বাছাই করে টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকেন। সোমবার বেলা একটার দিকে স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর পাশাপাশি থাকা ফারুক হোসেন, মো.

রাসেল, আহমদ আলী ও মামুন মিয়ার গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে কোনাবাড়ী ও গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, আগুনে পাঁচটি গুদাম পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। একটি গুদামে আগুন জ্বলছে, সেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁরা কাজ করছেন। ঘটনাস্থলের আশপাশে ২০ থেকে ২২টি ঝুট মালামালের গুদাম আছে। তাঁরা আশা করছেন, বাকিগুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে।

মোহাম্মদ মামুন বলেন, এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আলিম বলেন, কোনাবাড়ীর আমবাগসহ আশপাশের এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ঝুটের মালের গুদাম করা হয়েছে। যেগুলোতে কোনো অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই। প্রায়ই এসব গুদামে আগুনের ঘটনা ঘটছে। তাদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক য় ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ বছর চামড়া শিল্পে ব্যাপক নৈরাজ্য হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘‘গত ১৫ বছরে দেশের চামড়া শিল্পে ব্যাপক নৈরাজ্য চলেছে এবং এর ফলে শিল্পটির চরম অধঃপতন হয়েছে। এ খাতে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, তা এত দ্রুত ভাঙা সহজ নয়।’’

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে যশোরের রাজারহাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চামড়ার হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘‘আমরা চামড়া শিল্পে সবার আগে এতিমখানা ও মাদ্রাসার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি। পাশাপাশি চামড়া শিল্পের সার্বিক স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’’

তিনি বলেন, ‘‘গত ১৫ বছরে চামড়া শিল্পের যে অধঃপতন ঘটেছে, তা পুনরুদ্ধার এবং অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা সারাদেশে কাজ করছি। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কন্ট্রোল টিমও সক্রিয় রয়েছে।’’

চামড়ার সঠিক দাম ও মূল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে লবণ বিতরণ করেছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘‘চামড়ার দাম বাড়াতে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ চামড়ার মূল্য নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘অনেক মাদ্রাসা লবণ ছাড়াই চামড়া সংগ্রহ করেছে। অথচ সরকার লবণ ছাড়া চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে না। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তা নষ্ট করেছেন।  ফলে কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাননি।’’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ট্যানারি মালিকদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার ঈদের আগেই ২২০ কোটি টাকার প্রণোদনা ছাড় করেছে। বাজার ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের চাহিদা তৈরি হবে।’’

শেখ বশিরউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য নিয়ে এখনো সরকারের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। অথচ সরকার চামড়া শিল্প রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারব।’’

ঢাকা/রিটন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ