নরসিংদীর শিবপুরে বাসচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত এগারোটার দিকে শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা-শিবপুর আঞ্চলিক সড়কের বান্দারদিয়া পেট্রোল পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের মির্জাকান্দী গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২), একই গ্রামের বদরুদ্দিনের ছেলে আশিক (২২) ও বাবুল মিয়ার ছেলে অপু (২০)।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার তিন বন্ধু এক মোটরসাইকেলে চড়ে খেলার সামগ্রী কেনার জন্য নরসিংদী যান। বাড়ি ফেরার পথে রাত এগারোটার দিকে উপজেলার ইটাখোলা-শিবপুর সড়কের বান্ধারদিয়া পেট্রোল পাম্পের কাছে পৌঁছালে সামনে থেকে একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিন বন্ধুই গুরতর আহত হন। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের শিবপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ও আশিককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে অপুও মারা যায়।

শিবপুর ফায়ার সার্ভিসের তত্ত্বাবধায়ক ইসমাইল হোসেন সমকালকে তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিবপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার হোসনেয়ারা বেগম জানান, নিহত তিনজনের মরদেহ থানায় আছে। মরদেহ তিনটি মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত সড়ক দ র ঘটন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোলে গ্রেপ্তার গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আজমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

গ্রেপ্তার শাহাবুদ্দিনের নামে গোপালগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ছিলেন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সাড়ে ১১টার দিকে শাহাবুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আসেন। কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর যাত্রাবাড়ী ও গোপালগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তবে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ মুন্সী প্রথম আলোকে বলেন, বেনাপোল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা আছে। তাঁকে গোপালগঞ্জ সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখন বেনাপোল বন্দর থানার হাজতে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ থেকে পুলিশের একটি দল বেনাপোলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ