সেই গাড়িটি নিজেদের দাবি করে ফেরত চাইলেন ডরিন
Published: 10th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়া শহরের শাফিনা টাওয়ারে পাওয়া বিলাসবহুল গাড়িটি ভারতের কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের।
মঙ্গলবার (১০ জুন) মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তিনি তার বাবার গাড়িটি ফিরে পাওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন।
ডরিন বলেন, ‘‘গাড়িটি আমাদের। আমরা গাড়িটি কারো কাছে বিক্রি করিনি। তবে গাড়িটি ওইখানে কেন, সেটাও জানি না।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা যেভাবে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন, তাতে আমাদের গাড়ির কথা মনেই ছিল না। ৫ আগস্টের ঘটনার পর আমরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে গাড়িটা আমরা নিজেদের মধ্যে খোঁজাখুঁজি করছিলাম। নিজেদের মতো করেই এ নিয়ে খোঁজ নিচ্ছিলাম।’’
ডরিন বলেন, ‘‘আমার বাবার ডেথ সার্টিফিকেট ও ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট এখনো পাইনি। কিছুদিন আগেও ভারত থেকে ঘুরে এলাম। বাবার জানাজাটা পর্যন্ত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। যেহেতু বাবার হঠাৎ করেই এমন দুর্ঘটনা হলো, তারপর থেকে আমাদের মাথায় গাড়ির বিষয়টি ছিলই না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এ বিষয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তবে আমাদের গাড়িটি বুঝিয়ে দিতে তাদের সহায়তা নেব।’’
এর আগে, সোমবার রাতে কয়েক কোটি টাকার বিলাসবহুল ওই গাড়ি নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ সৃষ্টি হলে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ির ভেতর থেকে সংসদ সদস্যের স্টিকার ও কাগজপত্র জব্দ করে।
জব্দ করা একটি কাগজে মালিক হিসেবে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের নাম ছিল।
সাফিনা টাওয়ারের প্রহরী আলমগীর বলেন, ‘‘প্রায় তিন মাস আগে একটি তামাক কোম্পানির দুই কর্মকর্তা গাড়িটি রেখে যান। তাদের কোম্পানির বায়ারদের জন্য ভবনের দুই, তিন ও চার তলায় পাঁচটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া আছে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।