নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে, ভুক্তভোগী সাদেকুর রহমান লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আড়াইহাজার গোপালদী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। গোপালদী বাজারে তার একটি ফার্মেসি রয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কুতুবউদ্দিন (৪৫) ও কনস্টেবল আবুল খায়ের (৩৫)।

অভিযোগে সাদেকুর উল্লেখ করেছেন, গত ৪ জুন দুই পুলিশ সদস্য তার দোকানে আসেন। এসময় তারা দোকানে ঢুকে ওষুধ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে একটি কাগজ মোড়ানো প্যাকেট বের করেন। ওই প্যাকেটের ভেতর ৫০টির মতো ইয়াবা ছিল। পরে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন তারা।

সাদেকুর দাবি করেন, ইয়াবা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, ‘‘অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত বরে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কুতুবউদ্দিন বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। তাদের সঙ্গে কথা বললে এ বিষয়ে জানতে পারবেন।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)  দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।

‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ