রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর ব্রিজের নিচে চন্দনা নদী থেকে এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত অটোচালকের নাম আসলাম প্রামানিক (৪৫)। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের চরলক্ষীপুর গ্রামের পিয়ার আলী প্রামানিকের ছেলে।

বুধবার সকালে স্থানীয়রা চাঁদপুর ব্রিজের নিচে চন্দনা নদীতে একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে কালুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের ভাই সিদ্দিক প্রামানিক সমকালকে বলেন, ‘আমার ভাই আসলাম মঙ্গলবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আমরা আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েছি কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান পাইনি। সকালে খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি নদীতে ভাইয়ের মরদেহ। আমরা নিশ্চিত, তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, নিহত আসলাম মঙ্গলবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন। বুধবার সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা তার মরদেহ চন্দনা নদী থেকে উদ্ধার করি। তবে তার অটোরিকশার সন্ধান মেলেনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সকালেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অটো ছিনতাইয়ের জন্য আসলামের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে রাখা হয়েছে এবং ছিনতাইকারীরা অটো নিয়ে পালিয়েছে। আমরা ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র র মরদ হ আসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা অমিত

যশোরের চৌগাছায় ধর্ষণের শিকার ৭ বছরের সেই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। একই সঙ্গে শিশুটির আইনি সুবিচার পেতে জেলার জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে গিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিশুটির চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি কথা বলেন।

বুধবার যশোরের চৌগাছায় বাড়ির পাশে শিশুটিকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী দাদা। এরপর শিশুটিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা থানায় অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে (৫৫) আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শিশুটির মা হাসপাতালে জানান, তার মেয়েটি বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এসময় শিশুটিকে একা পেয়ে মিজানুর জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে কান্না করছিল। তার কাছ থেকে ঘটনা শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। তার চিকিৎসা চলছে। 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হোসাইন সাফায়েত বলেন, শিশুটিকে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয়। তার শরীরের ক্ষত স্থানে অপারেশন করা হয়েছে। এখন শিশুটিকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এখন শঙ্কামুক্ত। 

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, রিপোর্ট পাওয়ার পর আসল ঘটনা জানা যাবে। ঘটনার পরেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটির চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে যান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এ সময় তার সঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) যশোরের নেতৃবৃন্দ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিএনপি নেতা অমিত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং শিশুটির পরিবার আইনি বিচার পেতে  জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দদের নির্দেশনা দেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, শিশুটির সঙ্গে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। শিশুটির বাবা বিদেশ থাকে। এই পরিবারে কোন পুরুষ সদস্য নেই। তাছাড়া তারা গরীব। ঘটনাটি জানার পর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে আমরা শিশুটিকে দেখতে যাই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ