সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় রোজিনা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামীও নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। স্বামী মোতালেব হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মোতালেব হোসেন বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত রোজিনা খাতুন সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে ও মোতালেবের স্ত্রী। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

নিহত রোজিনার চাচাতো ভাই জাহিদ হাসান বলেন, ‘‘প্রেমের সম্পর্কে ৩ বছর আগে রোজিনা ও মোতালেব বিয়ে করেন। মোতালেবের পরিবার বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় বিয়ের পর থেকে এরান্দহ গ্রামে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন তারা। গত ৬ দিন আগে ফেনী জেলা থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ শেষ করে বাড়িতে আসেন মোতালেব। পারিবারিক কলহের জের ধরে কথা কাটাকাটি হয় তাদের। পরে নিজের রুমে ঘুমিয়ে পড়ে তারা। রাত আড়াইটার দিকে পাশে ঘর থেকে রোজিনার ভাতিজা বায়জিদ কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে গলাকাটা অবস্থায় রোজিনার রক্তাক্ত মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। তাদের ৮ মাসের ছোট বাচ্চাটি কান্নাকাটি করছে। পাশে তার ফুফা আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ঘরের দরজা খুলে রোজিনার গলা কাটা রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। আহত মোতালেব হোসেনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’’ 

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘‘গলাকাটা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’’

ঢাকা/অদিত্য/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স র জগঞ জ অবস থ য় হত য র মরদ হ সলঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ