ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামে মারা যায় তারা।

মারা যাওয়া শিশুরা হলো- বিহাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. কাউসার মিয়ার মেয়ে আড়াই বছর বয়সী মরিয়ম আক্তার ও একই উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের ধানসার গ্রামের শাহেদ মিয়ার মেয়ে আড়াই বছর বয়সী সাহিদা আক্তার। শিশু শাহিদা আক্তার তার নানা বাড়ি বেড়াতে এসেছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো.

মোজাফফর হোসেন জানান, উঠানে খেলা করছিল দুই শিশু। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। পরে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়। 

আরো পড়ুন:

নানার বাড়িতে এসে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

মায়া-মমতাহীন জীবনেও ঈদ আনন্দ পেল শিশুরা

তিনি আরো জানান, অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দুইটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন ১২–দলীয় জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো এনেছে।

আজ শুক্রবার লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে ওই বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ১২–দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

আজকের এ বৈঠক যেন শুধু কথার কথায় না থাকে, সেই প্রত্যাশা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, জয় হবে বাংলাদেশের, জয় হবে জনগণের।’

১২–দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন এবং নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ