ভারতের আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে উড়োজাহাজটিতে থাকা ২৪২ আরোহীর ২৪১ জনই মারা গেছেন। আর বিমানবন্দরের পাশে যে ভবনে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছিল সেখানে মারা গেছেন আরও ২৪ জন মেডিকেল কলেজশিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের গুজরাট রাজ্যের রাজধানী আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং-৭৮৭ মডেলের একটি উড়োজাহাজ। উড্ডয়নের পরপরই বিমানবন্দরের পাশের একটি আবাসিক এলাকায় সেটি বিধ্বস্ত হয়।
মরদেহ পেতে আহমেদাবাদের হাসপাতালের বাইরে স্বজনদের অপেক্ষা যেন ফোরাচ্ছে না। পরিচয় শনাক্তে দাঁতসহ অন্য নমুনা পরীক্ষা করার কাজ চলছে। তবে মরদেহ পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করাটা জটিল হয়ে উঠেছে।
দুর্ঘটনার পর থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলে। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে যে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ভবনে আটকে পড়েছিল সেখানে কোনো মরদেহ চাপা পড়ে রয়েছে কি না, তা খোঁজা হচ্ছে।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন কয়েকজন তদন্ত কর্মকর্তা। এক দিন আগে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে এখানেই বিধ্বস্ত হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ। গতকাল গুজরাটের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে পাশে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বজয়ের পর মার্করাম বললেন, এত দামি রান কখনো করিনি
কেশব মহারাজ কথাই বলতে পারছিলেন না ঠিকঠাক। প্রথা ভেঙে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন সাক্ষাৎকার নিতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। মহারাজের কণ্ঠ থেমে যাচ্ছিল আনন্দাশ্রুতে। ফাঁকে ফাঁকে তিনি যা বললেন, তাতে কৃতজ্ঞতা থাকল সমর্থকদের জন্য, ‘এটা বিশেষ, এখানে যাঁরা এসেছেন ও যাঁরা দেশে আছেন—তাঁদের জন্য ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে পারা সম্মানের। গত পাঁচ দিন যে একতা ছিল, এটাই আমাদের দেশ। এখানে যাঁরা এসেছেন, সবার কাছে আমরা ভীষণ কৃতজ্ঞ।’
শুধু তো আর মহারাজ নন। দক্ষিণ আফ্রিকার যাঁকেই পাওয়া গেল, যখন যিনিই কথা বললেন—সবারই কৃতজ্ঞতা দর্শকদের প্রতি। তা না হয়ে অবশ্য কারণও নেই—১৯৯৮ সালের পর এবারই প্রথম আইসিসির কোনো শিরোপা জিতেছেন তাঁরা, জিতেছেন প্রথম ‘বিশ্বকাপ’।
১৯৯৮ সালে ঢাকায় মিনি বিশ্বকাপ জয়ের পর বৈশ্বিক আসরে ১১ সেমিফাইনাল আর ১ ফাইনালে হারের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই জয়ের পথেও কম কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়নি। প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে গিয়েছিল ৭৪ রানে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল দলটি।
শেষ দিকে ড্রেসিংরুমের অবস্থা কেমন ছিল, তার একটা ধারণা মিলবে মার্কো ইয়ানসেনের কথায়, ‘বসে বসে প্রার্থনা করছিলাম, আমরা ভাগ্যবান যে কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছি। ড্রেসিংরুমে সবাই অনেক নার্ভাস ছিল। অনেকে চুপ করে বসেছিল, কিন্তু আমাদের দর্শকেরা প্রতিটি রানের জন্য চিৎকার করেছেন, এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই।’
ট্রফি হাতে উদযাপনে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা