কলাপাড়ায় বসতঘর থেকে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
Published: 14th, June 2025 GMT
কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের নিজ ঘর থেকে নাসিমা আক্তার নামের (১৫) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নাসিমা আক্তার এ বছর মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন নাসিমার বাবা মোজাম্মেল হক নিজ কাজে বরিশাল যান। দুপুরে মা নাজমা বেগম সবাইকে নিয়ে দুপুরের খাওয়ার পর পারিবারিক বিষয় নিয়ে মেয়েকে বকাঝকা করেন। এরপর সন্ধ্যার কিছু আগে ছোট ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে পাশের বাড়িতে যান। ঘণ্টাখানেক পর বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। জানালার ফাঁক দিয়ে দেখেন তার মেয়ে বারান্দার আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। মা ও ভাইয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় চৌকিদার রাত ১০টার দিকে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে কলাপাড়া থানায় নিয়ে যায়।
কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ
নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুজন হলেন রাবেয়া বসরী (২৩) ও তাঁর চার বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম। উদ্ধারের পর লাশ দুটি সুধারাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাবেয়া বসরীর স্বামী আবদুর রহমান ওরফে রুবেল (৩৮) পেশায় কসাই। রাবেয়া তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাবেয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
কাদিরহানিফ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম নিহত রাবেয়ার স্বামী আবদুর রহমানের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে আবদুর রহমান তাঁর ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ও স্ত্রী রাবেয়া বসরীর লাশ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। তিনি চিৎকার দিলে পাশের ঘর থেকে তাঁর ভাইসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে তিনিও (ইউপি) ওই বাড়িতে যান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মা ও মেয়ের লাশ পৃথক দুটি রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। স্বামীর দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দেড়টার দিকে ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের কাপড়চোপড় এলোমেলো, কক্ষের ভেতর তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীর লাশ ঝুলছে। তখন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।
এসআই লন্ডন চৌধুরী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য স্বামী আবদুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে মা-মেয়ের মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।