ইসরায়েলের পাইলটকে আটকের দাবি ইরানের, নাকচ করেছে ইসরায়েল
Published: 14th, June 2025 GMT
ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিমানের একজন পাইলটকেও আটকের দাবি করেছে তেহরান। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এমন দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিকচে আদ্রেয়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলেন, ইরানের সংবাদমাধ্যম মিথ্যা বলেছে। খবর-বিবিসি
অন্যদিকে সিএনএন বলেছে, ইরানে দুটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। একটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, শুক্রবার তারা ইরানের দুটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। হামলায় একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ দুটি বিমানঘাঁটি হলো ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের হামাদান বিমানঘাঁটি ও উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ বিমানঘাঁটি। এর মধ্যে হামলায় তাবরিজ বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। বলা হয়েছে, ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এ বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
তেহরানে শুক্রবার পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার জবাবে রাতে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩’ নামের এ অভিযানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করা হয়। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
অন্যদিকে ইসরায়েলের ইংরেজি পত্রিকা দ্য জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের হামলায় ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছেন। তেল আবিব ও জেরুসালেমে সতর্কতামূলক সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এছাড়া ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে, ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের সমুদ্র উপকূলবর্তী সমতল এলাকায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মাঝে একজন ছিলেন ৬০ বছর বয়সী একজন নারী, যাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে, তখন তার শরীরে কোনও প্রাণচিহ্ন পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৪৫ বছর বয়সী এক পুরুষকেও উদ্ধার করা হয়, পরে যাকে মৃত ঘোষণা করা হয়, জানিয়েছে এমডিএ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। করোনার কারণে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। এ ছাড়া আজ শনিবার নতুন করে আরও একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সরকারিভাবে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে।
জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ দুজন এবং গতকাল শুক্রবার একজন রোগী বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালটিকে ইতিমধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ২০ শয্যার আইসোলেশন কেন্দ্র ও ৫ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আকরাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, করোনা নিয়ে ইতিমধ্যে তিনজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আরও একজন রোগী আসবেন বলে যোগাযোগ করেছেন। করোনার পাশাপাশি তাঁরা আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত। তবে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আপাতত একটি আইসিইউ ভেন্টিলেশন শয্যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেনারেল হাসপাতালে বিদ্যমান আইসিইউ শয্যাগুলোর মেরামতও চলমান রয়েছে বলে তত্ত্বাবধায়ক জানান।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে জেনারেল হাসপাতালকে করোনার বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ঘোষণা করা হয়। ওই বছরই করোনো রোগীদের সেবায় হাসপাতালটিতে প্রথমে ১০টি আইসিইউ শয্যা দেওয়া হয়। পরের বছর যুক্ত করা হয় আরও আটটি আইসিইউ শয্যা। কিন্তু শয্যাগুলো বর্তমানে নানাভাবে ত্রুটিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় সবগুলোর ভেন্টিলেশনই বিকল।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম।