সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুদের ব্যবহারের ওপর সময়সীমা আরোপ করে ‘কারফিউ’ চালুর যে প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকার ভাবছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে, বরং বন্ধুত্বে দূরত্ব ও একাকীত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে।

যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী পিটার কাইল সম্প্রতি জানান, শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করে আইন প্রণয়নের কথা ভাবা হচ্ছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, স্কুলের সময় বাদ দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা এবং রাত ১০টার পর কোনো অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না শিশুরা। ঘুমের ব্যাঘাত, পড়াশোনায় মনোযোগে ঘাটতি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি—এই তিন সমস্যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয়। এসব বিবেচনায় কারফিউ কার্যকর বলে মনে হলেও, বাস্তবতা ভিন্ন বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা।

যুক্তরাজ্যের বাথ স্পা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার এটচেলস বলেন, ‘যদি আমরা মনে করি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশুদের জন্য ক্ষতিকর, তাহলে নিষেধাজ্ঞা তার সমাধান নয়। উল্টো এটি কেবল সমস্যা সমাধানের সময় পিছিয়ে দেয়।’

পিটার এটচেলস আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারের ওপর কারফিউ জারি করলে শিশুরা তা এড়িয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে নেবে এবং মূল সমস্যাগুলো, যেমন ক্ষতিকর কনটেন্ট, সাইবারবুলিং কিংবা আসক্তি—এসব বিকল্পভাবে তাদের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকবে।’ দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে দেশটি “শাটডাউন ল” চালু করেছিল। যার আওতায় ১৬ বছরের কম বয়সীরা রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অনলাইন গেম খেলতে পারত না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে শিশুদের ঘুমের পরিমাণ বেড়েছে মাত্র দেড় মিনিট। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে সেই আইন বাতিল করা হয়।’

কিংস কলেজ লন্ডনের ডিজিটাল স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ ডায়াগনোজড পডকাস্টের উপস্থাপক র‌্যাচেল কেন্ট বলেন, ‘নিয়ন্ত্রিত সময়সীমা মাঝেমধ্যে উপকারী হলেও জাতীয় পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন অত্যন্ত কঠিন। শিশুরা প্রযুক্তিগতভাবে এতটাই দক্ষ যে তারা খুব সহজেই এসব সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারে।’ তাঁর মতে, শিশুদের ডিজিটাল আচরণে ভারসাম্য আনতে প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার বিকল্প নেই। প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে সীমা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হলে পরিবার ও সমাজের ভূমিকাও জরুরি।

ইয়ুথ সিলেক্ট কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারফিউ কার্যকর বা বাস্তবসম্মত নয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিচালিত কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, জোরপূর্বক সীমা নির্ধারণে ‘ফোমো’ বা ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’-এর মতো মানসিক চাপ বেড়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সীমিত করার ফলে শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্বে ফাটল ধরতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ রিয়া ফ্রিম্যান। তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন ক্ষতির কারণ হতে পারে, তেমনি এটি সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ, পারিবারিক বন্ধন ও মানসিক স্বস্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমও। যদি শিশুদের কারও সময়সীমা অন্যদের সঙ্গে মেলে না, তাহলে তাদের বন্ধুত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা থেকে জন্ম নিতে পারে একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্নতা।’

যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ তরুণ মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকলে তাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাস্তব পরিপ্রেক্ষিতে এমন ধারণা অনেক সময় ফলপ্রসূ হয় না।

অধ্যাপক এটচেলস মনে করেন, কারফিউ বা নিষেধাজ্ঞা মূল সমস্যার সমাধান নয়। কারণ, এটি ক্ষতিকর কনটেন্টের উপস্থিতি বা সামাজিক মাধ্যমে আসক্তির কারণ দূর করে না; বরং সমস্যাটিকে সাময়িকভাবে চাপা দেয়।

যুক্তরাজ্যের সদ্য কার্যকর হওয়া ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট’-এর আওতায় এখন থেকে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্ট থেকে সুরক্ষা দিতে নতুন নিয়ম মানতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আইনের কিছু কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে, যা কারফিউ দিয়ে সমাধান করা যাবে না। ড.

কেন্ট বলেন, ‘এই কারফিউ আসলে সমস্যার মূলে পৌঁছায় না। আসল বিষয় হচ্ছে, টেক কোম্পানিগুলো যেন তাদের প্ল্যাটফর্মে ছড়ানো ক্ষতিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে এবং সরকার যেন তা কার্যকরভাবে তদারকি করে।’ মলি রোজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু বোরোসও মনে করেন, কনটেন্টের ক্ষতিকর দিক কমানো না গেলে কারফিউ কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতনতা, পরিমিত ব্যবহার ও সুনির্দিষ্ট শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। শিশুদের শেখাতে হবে কীভাবে ক্ষতিকর কনটেন্ট শনাক্ত করতে হয় এবং কীভাবে সেগুলোর মোকাবিলা করতে হয়।

অধ্যাপক এটচেলস বলেন, ‘আজকের শিশুরা বড় হচ্ছে এমন একটি সময়ে, যেখানে প্রযুক্তি জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের যদি আমরা প্রযুক্তির দুনিয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে না পারি, তাহলে কোনো নিষেধাজ্ঞাই কাজে আসবে না।’ যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিবিষয়ক দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, প্রতিটি শিশুর অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকার। অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট এর ভিত্তি তৈরি করেছে। তবে আমরা এখানেই থেমে থাকছি না। প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত।

সূত্র: ডেইলি মেইল

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর জ য র শ শ দ র জন য ক র যকর সময স ম ব যবহ র প রস ত সমস য ত করত র সময

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে বছর শেষে বাড়ছে ডেঙ্গু, কমেছে চিকুনগুনিয়া

চট্টগ্রামে বছরের শেষে এসে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম দুই দিনেই ৮৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা একটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গত বছরও এই সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছিল। এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ কমেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শূন্য।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া—দুটিই মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। দুটিই এডিস মশার কামড়ে হয়। এডিসের বংশ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নভেম্বরের শুরুতে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চট্টগ্রামে বছরের শুরু থেকে গতকাল বেলা একটা পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গত অক্টোবর মাসে। পুরো জেলায় ওই মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৯০ জন। এর আগের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৫। চলতি নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। কারণ, শীত শুরু হলে এডিসের বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি হলে সেটি বাড়তে পারে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।

এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত কমেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬৯। তবে চিকুনগুনিয়ায় মাসভিত্তিক তথ্য দেয়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়। যদিও প্রতিদিনের আক্রান্তের হিসাব দেয় তারা। প্রাথমিক হিসাবে, গত সেপ্টেম্বর মাসে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০৪। গত অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। এ মাসে কেবল একজন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।

এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের উপসর্গগুলোও কিছুটা ভিন্ন বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৪১ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) এবং ১২ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।এ এস এম লুৎফুল কবির, মেডিসিন বিভাগের প্রধান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা গেছে। তবে এ বছর যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে শক সিনড্রোম বেশি। পাশাপাশি ডায়রিয়ার উপসর্গও আছে। শক সিনড্রোম হলে রোগীর রক্তচাপ বোঝা যায় না। এই দুটি উপসর্গ গুরুতর। কারণ, সময়মতো ফ্লুইড (তরল খাবার) না পেলে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ এস এম লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।’

চলতি বছর এপ্রিল থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছে। জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হলেও পরের মাসগুলোয় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়। আর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে গরম কিন্তু কমেনি। এই বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা চলতি বছর ডেঙ্গুর বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তবে সংক্রমণ কমাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নগরের ২৫টি এলাকাকে ডেঙ্গু ও ২৫টি এলাকাকে চিকুনগুনিয়ার জন্য হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে বন্দর, ইপিজেড, হালিশহর, কোতোয়ালি, বায়েজিদ, পাহাড়তলী, কাট্টলী, খুলশী, ডবলমুরিং, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, দেওয়ানহাট, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুর, সদরঘাট—এসব এলাকায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব এলাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

সিটি করপোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সরফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশেষ দল করা হয়েছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জন্য। নিয়ম করে এলাকা ভাগ করে রুটিন অনুযায়ী ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’

চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার ২৮ দিন পর্যন্ত মশার প্রকোপ থাকে বলে ধারণা করা হয়। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ডেঙ্গু বাড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ