আলীকদমে ২ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্টের’ বর্ষা গ্রেপ্তার
Published: 14th, June 2025 GMT
বান্দরবানের আলীকদমে ২ পর্যটকের মৃত্যু ও ১ জন নিখোঁজের ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ নামক গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার আলীকদমের একটি পাহাড়ি স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ১২ ও ১৩ জুন আলীকদম থেকে স্মৃতি আক্তার ও শেখ জুবাইরুল ইসলাম নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর হাসান চৌধুরী শুভ নামে এক যুবক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। দুই পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় আলীকদম থানায় করা মামলায় বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আলীকদম থানার ওসি মির্জা জহির উদ্দিন সমকালকে জানান, বর্ষার বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত স্মৃতি আক্তারের বাবা হাবিবুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষা ইসলামের আহ্বানে গত ৮ জুন রাতে ৩৩ সদস্যের একটি দল ঢাকা থেকে বান্দরবানে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। গত ১০ জুন বর্ষা ইসলামসহ ১২ সদস্য ও একজন লোকাল গাইড আন্ধারমানিক ট্রেইলের দিকে অগ্রসর হন। অপরদিকে স্মৃতি আক্তারসহ ২০ জনকে পাহাড় সম্পর্কে অনভিজ্ঞ এক ব্যক্তির তত্ত্ববধানে আলীকদমে ফেরত পাঠানো হয়। ১১ জুন বিকেলে শামুক ঝর্ণা এলাকায় হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে স্মৃতি আক্তার, হাসান চৌধুরী শুভ এবং শেখ জুবাইরুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরে ১২ ও ১৩ জুন স্মৃতি ও জুবাইরুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে হাসান চৌধুরী এখনও নিখোঁজ।
পুলিশ জানায়, যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আবহাওয়ার সতর্কতা এবং প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ আয়োজনের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মামলায় বর্ষা ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন য র এক ইসল ম র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ