সেরা তিন গোলরক্ষকে চোখ গালাতাসারায়ের
Published: 14th, June 2025 GMT
উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা গালাতাসারায় ছেড়েছেন। আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো করতে তুরস্কের লিগ চ্যাম্পিয়নরা সময়ের অন্যতম সেরা তিন গোলরক্ষকের একজনকে দলে ভেড়াতে চায়।
তারা হলেন- অ্যাস্টন ভিলা ছাড়তে চাওয়া আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ। বার্সেলোনায় শুরুর একাদশে জায়গা হারানোর শঙ্কায় থাকা জার্মান গোলরক্ষক টের স্টেগান ও লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার।
এর মধ্যে অ্যালিসন বেকারকে আকর্ষণীয় চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে গালাতাসারায়। স্পোর্টস জার্মানি দাবি করেছে, ৩৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান আসন্ন মৌসুমে অ্যানফিল্ড ছাড়তে চান না। তিনি তুর্কিশ ক্লাবকে না করে দিয়েছেন।
লিভারপুল ভ্যালেন্সিয়া থেকে জর্জিয়ান গোলরক্ষক জিওর্জি মামারডাশভিলিকে কিনেছে। ২৪ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের সঙ্গে লড়াই করতে চান অ্যালিসন। বিশ্বকাপের পরে রেডস শিবির ছাড়ার কথা ভাবতে পারেন তিনি।
ওদিকে বার্সেলোনা ইনজুরি জর্জরিত টের স্টেগানে ভরসা রাখতে পারছে না। যে কারণে তারা ২৪ বছর বয়সী স্প্যানিশ গোলরক্ষক লুইস গার্সিয়াকে কিনেছে ২৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে। বিকল্প গোলরক্ষক হিসেবে কাতালানরা ভয়চেক সেজনকে রাখতে চায়। বেতন বেশি হওয়ায় ছেড়ে দিতে চায় স্টেগানকে।
যদিও স্টেগান বার্সা ছাড়তে চান না। তিনি শুরুর একাদশে জায়গার জন্য লড়াই করতে চান। গালাতাসারায় জার্মান গোলরক্ষককে দলে নিতে চায়। তারা নতুন একটা প্রজেক্ট দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। ওই প্রজেক্টে এরই মধ্যে লিরয় সানে যোগ দিয়েছেন। গুঞ্জন আছে, ম্যানসিটির বেনার্ড সিলভা, ইলকে গুন্ডোয়ানকে যোগ দিতে পারেন। টের স্টেগানকেও পছন্দ তাদের।
ভিল্লা পার্কে মৌসুমের শেষ ম্যাচে স্ত্রী-সন্তান সঙ্গে এনেছিলেন এমি মার্টিনেজ। হাত উচিয়ে ভক্তদের বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি। যদিও ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি আছে তার। মার্টিনেজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য লড়াই করবে এমন ক্লাবে যোগ দিতে চান। তার বার্সায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এখন আর সে সুযোগ নেই। তার নামে বড় কোন ক্লাবে যাওয়ার জোর গুঞ্জনও নেই। গালাতাসারায় নজর রাখছে তার ওপরও।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল এম ল য় ন ম র ট ন জ
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস