উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা গালাতাসারায় ছেড়েছেন। আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো করতে তুরস্কের লিগ চ্যাম্পিয়নরা সময়ের অন্যতম সেরা তিন গোলরক্ষকের একজনকে দলে ভেড়াতে চায়। 

তারা হলেন- অ্যাস্টন ভিলা ছাড়তে চাওয়া আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ। বার্সেলোনায় শুরুর একাদশে জায়গা হারানোর শঙ্কায় থাকা জার্মান গোলরক্ষক টের স্টেগান ও লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। 

এর মধ্যে অ্যালিসন বেকারকে আকর্ষণীয় চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে গালাতাসারায়। স্পোর্টস জার্মানি দাবি করেছে, ৩৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান আসন্ন মৌসুমে অ্যানফিল্ড ছাড়তে চান না। তিনি তুর্কিশ ক্লাবকে না করে দিয়েছেন। 

লিভারপুল ভ্যালেন্সিয়া থেকে জর্জিয়ান গোলরক্ষক জিওর্জি মামারডাশভিলিকে কিনেছে। ২৪ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের সঙ্গে লড়াই করতে চান অ্যালিসন। বিশ্বকাপের পরে রেডস শিবির ছাড়ার কথা ভাবতে পারেন তিনি।

ওদিকে বার্সেলোনা ইনজুরি জর্জরিত টের স্টেগানে ভরসা রাখতে পারছে না। যে কারণে তারা ২৪ বছর বয়সী স্প্যানিশ গোলরক্ষক লুইস গার্সিয়াকে কিনেছে ২৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে। বিকল্প গোলরক্ষক হিসেবে কাতালানরা ভয়চেক সেজনকে রাখতে চায়। বেতন বেশি হওয়ায় ছেড়ে দিতে চায় স্টেগানকে। 

যদিও স্টেগান বার্সা ছাড়তে চান না। তিনি শুরুর একাদশে জায়গার জন্য লড়াই করতে চান। গালাতাসারায় জার্মান গোলরক্ষককে দলে নিতে চায়। তারা নতুন একটা প্রজেক্ট দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। ওই প্রজেক্টে এরই মধ্যে লিরয় সানে যোগ দিয়েছেন। গুঞ্জন আছে, ম্যানসিটির বেনার্ড সিলভা, ইলকে গুন্ডোয়ানকে যোগ দিতে পারেন। টের স্টেগানকেও পছন্দ তাদের।  

ভিল্লা পার্কে মৌসুমের শেষ ম্যাচে স্ত্রী-সন্তান সঙ্গে এনেছিলেন এমি মার্টিনেজ। হাত উচিয়ে ভক্তদের বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি। যদিও ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি আছে তার। মার্টিনেজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য লড়াই করবে এমন ক্লাবে যোগ দিতে চান। তার বার্সায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এখন আর সে সুযোগ নেই। তার নামে বড় কোন ক্লাবে যাওয়ার জোর গুঞ্জনও নেই। গালাতাসারায় নজর রাখছে তার ওপরও।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল এম ল য় ন ম র ট ন জ

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকের ভুলে মাস্টার্সের সব পরীক্ষার্থী ফেল!

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রোকনুজ্জামানের উদাসীনতার কারণে মাস্টার্সের ৯০ পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোর কারণেই তারা সবাই ফেল করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমীন বলেন, “রসায়ন বিভাগের ৯০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোর কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।”
দুঃখ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। যারা ভুল করেছে এবং যাদের কারণে সবাই ফেল করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি, সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।” 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের সব কলেজের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ তারিখে তাদের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। 

গত ৪ জুন (বুধবার) তাদের ফলাফল প্রকাশিত হয়। তখন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা দেওয়া ৯০ পরীক্ষার্থী জানতে পারেন তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।

ভুক্তভোগী কয়েকজন পরীক্ষার্থী বলেন, ফলাফল প্রকাশের পর দেখতে পাই শুধুমাত্র কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা দেওয়া ৯০ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। অনলাইনে প্রকাশিত ফলাফল শিটে সব পরীক্ষার্থীর নামের পাশে এফ লেখা থাকায় আমরা নিশ্চিত হই যে আমরা সবাই ফেল করেছি।

তারা আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন তারা জানান, আমাদের মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল কলেজ কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়নি। এ কারণে আমরা ফেল করেছি।

এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান রোকনুজ্জামানের মোবাইলে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ