বন্ধুদের সঙ্গে ঝর্ণার কূপে নেমে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
Published: 15th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঝর্ণার কূপে বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে নেমে আসিফ উদ্দিন (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বড়দারোগার হাটের পূর্বে পাহাড়ের ভেতর রূপসী ঝর্ণায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আসিফ উদ্দিন চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ির কামাল গেট এলাকার মো. গোলাপের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
আফিসের বন্ধু মেহেদী হাসান জানান, তারা ৫ বন্ধু মিলে রোববার চট্টগ্রাম থেকে রূপসী ঝর্ণায় বেড়াতে যান। বেলা ১১টার দিকে ঝর্ণা এলাকায় পৌঁছান। কিছুক্ষণ আনন্দ করার পর সবাই মিলে ঝর্ণার একটি কূপে গোসলে নামেন। এ সময় আসিফ ডুবে যায়। বন্ধুরা মিলে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন তারা। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে কূপ থেকে আসিফের মরদেহ উদ্ধার করেন।
আরেক বন্ধু নাফিজ আহম্মেদ জানান, আসিফ সাঁতার জানতো না।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ওই পর্যটকের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহিদুল হোসেন আরমান বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবাকেন্দ্র থেকে পর্যটক নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?