কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পর অপহৃত রোহিঙ্গা হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত সৈনিক সুমন মুন্সীসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব। জব্দ করা হয়েছে অস্ত্র। 

রোববার বিকেলে র‌্যাবের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

র‍্যাব ১৫-এর সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও সহকারী পুলিশ সুপার আ.

ম. ফারুক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ডুমরাকান্দি গ্রামের সুমন মুন্সীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা আছে। ১১ জুন রাতে উখিয়া ১৫ নম্বর ক্যাম্প থেকে হাফিজ উল্লাহকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। তাকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালীর গহিন পাহাড়ে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে হাফিজ উল্লাহর পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। গত শুক্রবার র‌্যাবের একটি দল রঙ্গিখালীতে অভিযান চালিয়ে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুর নামে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করে। শনিবার বিকেলে উখিয়ার মরিচ্যা বাজার থেকে সুমন মুন্সীকে আটক করা হয়। রোববার র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বন বিভাগ গহিন অরণ্যে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে দেশে তৈরি একটি অস্ত্র, ৩ রাউন্ড গুলি, র‌্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ হ ফ জ উল ল

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার