নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত ভারতের ক্রিকেট দল পাকিস্তানে যাবে না, পাকিস্তানের ক্রিকেট দল ভারতে যাবে না—এমনটা ঠিকঠাক হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরেই। তবে এ বছরের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়ানোর পর অন্য কোনো দেশেও দুই দল মুখোমুখি হবে কি না সংশয় দেখা দিয়েছিল।
সংশয়ের সেই মেঘ কেটে গেছে। ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে যথা নিয়মেই মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। আগামী ৫ অক্টোবর ম্যাচটি হবে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তান সব ম্যাচই খেলবে শ্রীলঙ্কায়। বিশ্বকাপের মূল আয়োজন ভারত হলেও অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার জন্য শ্রীলঙ্কায় যাবে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে নারী বিশ্বকাপ শেষ হবে ২ নভেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে। ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। রাউন্ড-রবিন পদ্ধতির লিগ পর্বে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ৫ অক্টোবর।
বিস্তারিত আসছে .
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ
বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।
মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে।