বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে বিকল হওয়া ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কায় চালক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের কৃষ্ণপুর যমুনাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চালকের নাম মমিন ফকির (৩৮)। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলার সিরাজকান্দি গ্রামে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চালকের সহকারী নূর মোহাম্মদের (৩০)। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার থানাপাড়া সিনেমা হল এলাকায়।

পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভুট্টাবোঝাই একটি ট্রাক ঠাকুরগাঁও থেকে শ্রীমঙ্গল যাচ্ছিল। পথে শেরপুরে গিয়ে ট্রাকটি বিকল হয়ে যায়। পরে ট্রাকের চালক ও তাঁর সহকারী মহাসড়কের পাশে দাঁড় করানো ট্রাকটি মেরামতের জন্য ট্রাকের নিচে প্রবেশ করেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বিকল ট্রাকটির পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে চালক মমিন ফকির ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তাঁর সহকারী নূর মোহাম্মদ।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বেলা দেড়টার দিকে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ