১৩৪ বলে ৩২৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলল সূর্যবংশীর বন্ধু
Published: 16th, June 2025 GMT
এবারের আইপিএলের সেরা চমকের নাম সূর্যবংশী বৈভব। মাত্র ১৪ বছর বয়সে আইপিএল নিলামে জায়গা পায় সে। দল পেয়ে রেকর্ড গড়ে। এরপর ম্যাচ খেলতে নেমে সবচেয়ে কম বয়সে এবং ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ে। বৈভব যে ভারতের ক্রিকেটের পরবর্তী বড় কিছু এ নিয়ে সম্ভবত আর কারো সংশয় নেই।
এবার আলোয় আসল বৈভবের বন্ধু আয়ন রাজ। তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। এর মধ্যেই ১৩৪ বলে ৩২৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছে সে। তার ওই ইনিংস সাজানো ছিল ৪১টি চার ও ২২টি ছক্কার শটে।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বৈভবের মতো বিহারেই বাড়ি আয়নের। সেখানে মুজাফফরপুর জেলা ক্রিকেট লিগের অনূর্ধ-১৪ বিভাগে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছে সে। ম্যাচটি হয়েছ গত বৃহস্পতিবার। জেলা ক্রিকেট লিগ আয়োজিত ম্যাচে সংস্কৃতি ক্রিকেট একাডেমির হয়ে খেলেছিল আয়ন রাজ।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলে আয়ন। বৈভব সূর্যবংশীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুও আয়ন। বন্ধু বৈভব সম্পর্কে সে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলেছেম বৈভব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললে অনুপ্রেরণা পাই। আমরা ছোটবেলায় একসঙ্গে খেলেছি। ও এখন বড় হয়ে গেছে। আমি চেষ্টা করছি ওর পথ অনুসরণ করে এগোনোর।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল