বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের ৭ ম্যাচ কবে-কোথায়
Published: 16th, June 2025 GMT
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে মেয়েদের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টটির আয়োজক ভারত। তবে রাজনৈতিক উত্তাপের কারণে পাকিস্তান তাদের ম্যাচগুলো খেলবে শ্রীলঙ্কায়। সঙ্গে শ্রীলঙ্কাও ভারতের বিপক্ষে ছাড়া বাকি ম্যাচগুলো ঘরের মাঠে খেলবে।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন ভারত ও শ্রীলঙ্কা বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে। পরদিন ইন্দোরে মাঠে নামবে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে অজি নারীদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ আসর শুরু করবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। কলম্বোয় ২ অক্টোবর বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচটি গোহাটিতে হবে ৭ অক্টোবর।
ভিজাগে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ম্যাচ দুটি যথাক্রমে ১০ ও ১৩ অক্টোবর মাঠে গড়াবে। একই ভেন্যুতে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৬ অক্টোবর ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায় যেতে হবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। কলম্বোয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ রাখা হয়েছে ২০ অক্টোবর। শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে পুনরায় ভারতে আসতে হবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ভারতের। সূচিতে ম্যাচটি রাখা হয়েছে ২৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরুয়।
পাকিস্তান টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠলে প্রথম সেমিফাইনাল কলম্বোয় হবে। পাকিস্তান গ্রুপ পর্বে বিদায় নিলে সেমিফাইনাল হবে গোহাটিতে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে বেঙ্গালুরুয়। ম্যাচ দুটি যথাক্রমে ২৯ ও ৩০ অক্টোবর রাখা হয়েছে। মেয়েদের বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে ২ নভেম্বর। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ম্যাচ কলম্বোয় হবে। পাকিস্তান না থাকলে ফাইনাল হবে বেঙ্গালুরুয়।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সূচি:
বাংলাদেশ- পাকিস্তান- ২ অক্টোবর-কলম্বো
বাংলাদেশ- ইংল্যান্ড- ৭ অক্টোবর- গোহাটি
বাংলাদেশ- নিউজিল্যান্ড- ১০ অক্টোবর- ভিজাগ
বাংলাদেশ- দক্ষিণ আফ্রিকা- ১৩ অক্টোবর- ভিজাগ
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া- ১৬ অক্টোবর- ভিজাগ
বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা- ২০ অক্টোবর- কলম্বো
বাংলাদেশ- ভারত- ২৬ অক্টোবর- বেঙ্গালুরু
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল ব শ বক প কলম ব য়
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’