জ্বরে ভুগছেন টেস্ট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বভার পাওয়া মেহেদী মিরাজ। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল শান্ত জানিয়েছেন, মিরাজের শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। কিন্তু খেলতে পারবে কিনা বলার মতো ভালো নয়। 

টেস্ট অধিনায়ক জানিয়েছেন, মিরাজের সুস্থ হয়ে ফেরার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। মিরাজ থাকলে কীভাবে একাদশ সমন্বয় করা হবে। না থাকলে একাদশ কেমন হবে এসব এখনো মিরাজের ওপর নির্ভর করছে। তবে ডানহাতি অফ স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ ফিরলে ভালো সমন্বয় নিয়ে প্রথম টেস্টে নামতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন শান্ত। 

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘মিরাজের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে এখনো সে পর্যবেক্ষণে রয়েছে। অনেক কিছু তার ওপর নির্ভর করছে। কালকের একাদশ কেমন হবে সেটাও একটা চিন্তার কারণ। সত্যি বলতে সে এখনো (খেলার মতো) সুস্থ নয়। সে সুস্থ হয়ে গেলে আমরা ভালো সমন্বয় নিয়ে খেলতে পারবো।’ 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত মাত্র একটা টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেটাও বেশ পুরনো স্মৃতি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু টেস্টে ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। ড্র হয়েছে, হারলেও লড়াই করেছে। গল টেস্ট দিয়ে নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যাত্রা ইতিবাচকভাবে শুরু করতে চান শান্ত। 

টাইগার টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ইতিবাচকভাবে শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি, এবারের যাত্রা খুব ভালোভাবে শুরু করতে পারবো। শ্রীলঙ্কায় আমাদের ভালো স্মৃতি আছে, যা সহায়তা করবে। তবে প্রতিটি সিরিজই নতুন শুরু। টপ অর্ডারের দায়িত্ব থাকবে দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়া। আমাদের দলটা ভালো, বিশেষ কিছু করার তাই দারুণ একটা সুযোগ।’ 

ওই সুযোগ নিতে স্পিন চ্যালেঞ্জ উৎরাতে হবে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডির উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হলেও গলের উইকেটে স্পিন ধরে। শান্ত মানছেন, স্পিন একটা চ্যালেঞ্জ হবে। তবে প্রথম দুই-তিনদিন ভালো ব্যাটিং করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি, ‘এখানে স্পিনাররা অনেক উইকেট পান। ব্যাটারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে প্রথম দুই-তিনদিন অনেক রান হয়, সেটাও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গল ট স ট র ওপর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

আরো পড়ুন:

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়

এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।

তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।

এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।

আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।

এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ